Latest News

‘‘আমার নায়ক আর নেই,’’, আবেগঘন পোস্টে জানালেন ব্যথিত সৌরভ

দ্য ওয়াল ব্যুরো: বরাবর বলতেন, আমার নায়ক একজনই, দিয়েগো মারাদোনা। নিজের খুব ইচ্ছে ছিল একবার আর্জেন্টিনায় মারাদোনার দেশে যাওয়ার। একবার বলেছিলেন, ‘‘আমি যদি ২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপ দেখতে যেতে পারতাম, তা হলে পাশেই তো আর্জেন্টিনা, ঠিক ঘুরে আসতাম।’‘

সেই ইচ্ছে, ইচ্ছেই থেকে গেল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আর মনে হয় কোনওদিন আর্জেন্টিনা যাওয়ার ইচ্ছে হবে না। কারণ যে মানুষটি আর্জেন্টিনার মতো দেশকে বিশ্ব মানচিত্রে নতুনভাবে চিনিয়েছিলেন, তিনিই নেই।

আর কী বলতে পারেন সৌরভ? সেই কারণেই প্রথম যখন রাতে খবরটি শুনলেন সঙ্গে সঙ্গে আবেগঘন টুইট করেছেন মহারাজ। লিখেছেন, ‘‘আমার নায়ক আর নেই।  উনি শান্তিতে ঘুমোন, আমি ওঁকে দেখে ফুটবল খেলা দেখা শুরু করেছি।’’

মারাদোনার প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও প্রেম সৌরভের নতুন নয়। তিনি প্রায়শই বলতেন, মারাদোনাকে দেখে ফুটবলের প্রতি ভালবাসা এসেছে, তাঁর খেলা দেখে রীতিমতো হুলোড় করেছি। ১৯৮৬ সালে মারাদোনার খেলা দেখার পরে একটা ঘোর মনে হতো। এটাই ভাবতাম এটা কী সত্যি ঘটছে ফুটবল মাঠে?

এরকম বহু স্মৃতি রয়েছে ভারতীয় দলের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কের। তাঁর সঙ্গে মধ্যমগ্রাম স্কুলের মাঠে দেখা হয়েছিল। সৌরভও খেলেছিলেন মারাদোনার সঙ্গে। এসব শুধুই স্মৃতি। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল।

সৌরভ প্রায়ই জানাতেন, মারাদোনার প্রতি কেন তাঁর এতটা আবেগ? মহারাজ বলতেন, মারাদোনার ওই আবেগটা এতটাই সর্বজনীন ছিল যে সকলে ওঁর প্রতি শ্রদ্ধায় নত হতো। ১৯৯০ সালে মারাদোনার কান্না দেখে তিনিও ব্যথিত হয়েছিলেন।

সৌরভ ক্রিকেটের সেবক হতে পারেন, কিন্তু ফুটবলের প্রতি ভালবাসা মারাদোনাকে দেখেই তাঁর এসেছে। তাঁর কাছেও অমূল্য মারাদোনার সঙ্গে ছবি। তাই জীবনের নায়ককে হারিয়ে সৌরভ কথা বলার ভাষা হারিয়েছেন।

You might also like