শেষ আপডেট: 14th December 2020 05:25
পাড়া ক্রিকেটেও হয় না, বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাঠেই সতীর্থকে ঘুষি মারতে গেলেন মুশফিকুর
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশ ক্রিকেট তো বটেই, ক্রিকেট দুনিয়াতেও লজ্জার দৃষ্টান্ত রাখলেন মুশফিকুর রহিম। তিনি বাংলাদেশ দলের নামী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, যাঁর বিশ্বে একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। এই যাঁর চোখ টানা পরিসংখ্যান, তিনি ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’ই ভুলে গেলেন অনায়াসে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু টি ২০ কাপের ম্যাচে সোমবার তিনি খেলা চলাকালীন একটি উড়ন্ত বলকে তালুবন্দী করতে গিয়ে সতীর্থের জন্য মিস করছিলেন। সেই রাগে তিনি সতীর্থ নাসুম আহমেদের দিকে ঘুষি পাকাতে যান। সবচেয়ে বড় কথা, এই ঘটনার পরে নাসুম ওই সিনিয়র ক্রিকেটারের আচরণে অত্যন্ত বিষর্ষ হয়ে গিয়েছিলেন। দলের বাকিরা তাঁকে সান্ত্বনা দেন। কিন্তু একই দলের একজন ক্রিকেটারকে কিভাবে মুশফিকুর মারতে গেলেন, সেটি নিয়ে ঘোরতর প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? ইনিংসের ১৭ ওভারের শেষ বল। ম্যাচ জিততে ১৯ বলে ৪৫ রান প্রয়োজন ফরচুন বরিশালের। বোলার শফিকুল ইসলামের সেই ওভারের পাঁচ বলে খরচ করেছিলেন ১০ রান। শেষ বলে স্কুপ করতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন বরিশালের আফিফ হোসেন ধ্রুব, ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আফিফের উইকেট নেওয়ার পর বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস দেখানোর কথা ছিল, কিন্তু দেখা গেল বিপরীত দৃশ্য। আফিফের ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করার পর ফাইন লেগে দাঁড়ানো নাসুম আহমেদের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান মুশফিকুর, তিনি রীতিমতো ঘুষি পাকিয়ে তাঁকে মারতে উদ্যত হন। বল যখন হাওয়ায় ভাসছিল, তখন পেছনের দিকে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর আর নাসুমও ধীর পায়ে সামনে এগোচ্ছিলেন। তবে মুশফিকুর বলের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় থেমে যান নাসুম। ক্যাচটি লুফে নেওয়ার পর নাসুমের সঙ্গে মৃদু ধাক্কার মতো লাগে মুশফিকের। তখনই রেগে আগুন হয়ে যান ঢাকা অধিনায়ক। হাতে থাকা বলটি নাসুমের দিকে ছুড়ে মারার ভঙ্গি করেন তিনি, মনে হচ্ছিল বলসহ মুখে ঘুষি মেরে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চান নাসুম। এই ম্যাচে নাসুমের ওপর মুশফিকুরের রেগে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ইনিংসের ১৩ ওভারের তৃতীয় বলেও ঘটে একই ঘটনা। আগের বলেই আফিফের কাছে মার খেয়েছিলেন নাসুম। পরের বলটি অনসাইডে ঠেলেই এক রান নেন আফিফ, চেষ্টা করেন দ্বিতীয় রানের জন্য, যদিও তা নিতে পারেননি। ওদিকে বলের দিকে দুই পাশ থেকে দৌড় দেন নাসুম ও মুশফিকুর, তবে বল আগে পেয়ে যান মুশফিকুরই। তিনি থ্রো করতে উদ্যত হলে দেখেন নাসুম ঠিক তাঁর সামনেই দাঁড়িয়ে। তখন বলটি না ছুঁড়ে আবারও নাসুমের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় মুশফিকুরের শাস্তি হতে পারে। তাঁকে জরিমানা ও নির্বাসন দুটিই দেওয়া হতে পারে।