
সারাদিনে পড়ল ৫ উইকেট, সাড়ে ৫০০-র গণ্ডি টপকালো ইংল্যান্ড
প্রথম দিন যেখানে শেষ করেছিলেন দ্বিতীয় দিন সেখান থেকেই শুরু করলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। তাঁর আত্মবিশ্বাস এতটাই ভাল জায়গায় রয়েছে যে দেখে মনেই হল না তিনি আউট হতে পারেন। ইশান্ত-বুমরাহর পেস হোক কিংবা অশ্বিন-নাদিমের স্পিন, কোনও কিছুতেই রুটকে টলানো গেল না।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে ফিরে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেললেন বেন স্টোকস। প্রথম কয়েকটি ওভারে অশ্বিন ও শাহবাজ নাদিমের কিছু বলে সমস্যা হলেও উইকেট দেননি তিনি। তারপরে প্রতি আক্রমণে গেলেন স্টোকস। রিভার্স সুইপ থেকে শুরু করে ডাউন দ্য গ্রাউন্ড শট খেললেন। দ্রুত হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। ফলে প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন অনেক তাড়াতাড়ি রান তুলল ইংল্যান্ড।
লাঞ্চের পরেও দ্রুত রান তুলতে থাকেন স্টোকস। দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরও সেঞ্চুরি শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ৮২ রানের মাথায় শাহবাজ নাদিমের বলে পুল মারতে গিয়ে পুজারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। স্টোকস আউট হলেও একদিকে ধরে থাকেন রুট। তাঁর সঙ্গে জোট বাঁধেন অলি পোপ। একবারের জন্যও মনে হয়নি আউট হতে পারেন রুট।
অশ্বিনের বলে ছক্কা মেরে ডবল সেঞ্চুরির নজির গড়েন রুট। পঞ্চম উইকেটের জন্য আরও একটি পার্টনারশিপ হয়। অবশেষে ৩৪ রানের মাথায় আউট হন পোপ। ২১৮ করে শাহবাজ নাদিমের বলে আউট হয়ে ফিরে যান জো রুটও।
অধিনায়ক আউট হওয়ার পরে জুটি বাঁধলেন জশ বাটলার ও ডমিনিক লিচ। তাঁরাও বেশ দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন। ভারতীয় বোলারদের ক্লান্তির সুযোগ নিয়ে রান তাড়াতাড়ি আসছিল। কিন্তু নিজের শেষ স্পেলে বল করতে এসে জ্বলে উঠলেন ইশান্ত। পরপর দুই বলে বাটলার ও জোফ্রা আর্চারের উইকেট তুলে নেন তিনি। বাটলার ৩০ ও আর্চার শূন্য করে আউট হন।
তারপরে মনে হয়েছিল বাকি দুই উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে। কিন্তু তা হতে দিলেন না বেস ও লিচ। তাতে কিছুটা সুবিধা করলেন ভারতীয় প্লেয়াররাও। বেসের সহজ ক্যাচ ছাড়লেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ৮ উইকেটে ইংল্যান্ডের রান ৫৫৫। এখন দেখার তৃতীয় দিনের শুরুটা ভারতীয় বোলাররা কেমন করেন।