
রোহিতের দেড়শ, রাহানের হাফসেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে ভাল জায়গায় ভারত
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় ওভারেই ওলি স্টোনের বলে এলবিডবলু হয়ে শূন্য রানে ফেরেন শুভমান গিল। টেস্ট অভিষেকের পরে এই প্রথম শূন্যতে আউট হলেন তিনি। শুরুতে ধাক্কা খাওয়ার পরে পার্টনারশিপ গড়েন রোহিত ও পুজারা। এদিন শুরু থেকেই বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল রোহিতকে। নিজের শট খেলছিলেন। বেশ দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন তিনি।
ভাল শুরু করেও ২১ রানের মাথায় জ্যাক লিচের বলে খোঁচা মেরে আউট হন পুজারা। অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাটেও রান এল না। মইন আলির দুরন্ত অফ স্পিনে শূন্য রানে ফিরলেন তিনি।
তিন উইকেট পড়ার পরে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। কিন্তু সেখান থেকে ফের দলকে টেনে তোলেন রোহিত। লাঞ্চের আগে তো ১০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে রান তুলছিলেন হিটম্যান। অন্যদিকে তাঁকে সঙ্গ দেন সহ-অধিনায়ক অজিঙ্ক্যা রাহানে।
লাঞ্চের পরের সেশনে খেলা নিজেদের দিকে করে ভারত। দ্বিতীয় সেশনে একটিও উইকেট পড়েনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে নিজের সাত নম্বর সেঞ্চুরি করেন রোহিত। অন্যদিকে ভাল দেখাচ্ছিল রাহানেকেও। হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। কিছু বল বেশি টার্ন বা বাউন্স করলেও উইকেট দিয়ে আসেননি তাঁরা।
চায়ের বিরতির পরে বল পুরনো হতে আর ঘুরতে শুরু করে। উইকেটে বল পড়ার পরে ধুলো উড়ছিল। এইরকমের উইকেটে রোহিত যে ব্যাটিং করলেন তা ক্রিকেট প্রেমীদের বহুদিন মনে থাকবে। দেড়শ করার পরে মনে হচ্ছিল ডবল সেঞ্চুরিও আসবে হিটম্যানের ব্যাটে। কিন্তু জ্যাক লিচের একটা বল সুইপ মারতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ১৬১ রানে আউট হন রোহিত। তিনি আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ৬৭ রানের মাথায় মইন আলির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রাহানেও।
শেষদিকে পন্থ কয়েকটি শট খেলেন। রোহিত ও পন্থের খেলা দেখে বোঝা গেল এই উইকেটে বাঁচতে গেলেই বিপদ। আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানরা কিছুটা সুবিধা পাবেন। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ভারতের রান ৬ উইকেটে ৩০০। পন্থ ৩৩ ও পক্ষর পটেল ৫ করে খেলছেন। এখন দেখার প্রথম ইনিংসে দলের রান কতদূর নিয়ে যেতে পারেন তাঁরা।