Latest News

আইসিসি-র অন্দরে বড়সড় কেলেঙ্কারি, ছুটিতে পাঠানো হল ভারতীয় সিইও মনুকে

দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রদীপের নিচেও অন্ধকার থাকে। না হলে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার অন্দরে বড় কেলেঙ্কারির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর এর কেন্দ্রে রয়েছেন এক ভারতীয় শীর্ষ আধিকারিক। তিনি হলেন মনু সাহানি। যাঁর নামে অভিযোগ উঠেছে, তিনি সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে ভালরকম ব্যবহার করছেন না।

এমনকি আর্থিক ক্ষেত্রে কিছু গরমিলের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছেন মনু। সেই নিয়ে তাঁকে শো-কজ পর্যন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও জবাব দেননি। তার জেরেই মনুকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

অডিট বা নিরীক্ষার জন্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রাইসহাউজ ওয়াটার কুপার্সের (পিডব্লিউসি) তদন্তে মনু সাহানির এমন আচরণের প্রমাণ মিলেছে। তারপরই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ডেভিড রিচার্ডসনের স্থলাভিষিক্ত হন সাহানি। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন সে বছরের এপ্রিলে। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই কর্মীদের সঙ্গে কর্তৃত্বমূলক আচরণ শুরু করেন এই ভারতীয়। তাঁর আচরণে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না আইসিসি-র বাকি কর্মীরাও।

এমন অভিযোগ অবশ্য সাহানির বিরুদ্ধে এবারই প্রথম নয়, এর আগে সিঙ্গাপুরে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্গে তিনি নানা বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন।

মনু যাঁর চেয়ারে বসেছিলেন, সেই ডেভিড রিচার্ডসন কর্মীদের প্রতি দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব রেখে এগিয়েছেন, তাই তিনি এত সফল হয়েছিলেন। এই মনু আবার বিসিসিআই-র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত।

গত ফেব্রুয়ারি থেকেই তাঁর কার্যকলাপ নিরীক্ষার কাজ শুরু করে পিডব্লিউসি। আইসিসির ৮৫ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মী এই ইস্যুতে তাঁদের মতামত দিয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই মনুর আচরণে লিখিত রিপোর্ট করেছেন।

৫৬ বছর বয়সী সাহানি অবশ্য গত এক সপ্তাহ ধরে এমনিতেও অফিসে যাচ্ছেন না। তিনি আইসোলেশনে আছেন তাঁর পরিবারের একজন সদস্যের করোনা ধরা পড়ায়। এর মধ্যে তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটিতেই পাঠিয়ে দিল আইসিসি। তাঁর সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি বাকি বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার।

 

 

You might also like