
ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে আল জাজিরার তথ্যচিত্র দেখেও প্রমাণ পেল না আইসিসি! অবাক ক্রিকেট দুনিয়া
গত ২০১৮ সালে আইসিসি-র তালিকা ধরে ম্যাচের একটি তালিকা থেকে আল জাজিরা নামে একটি কাতারের টিভি সংস্থা এটি নিয়ে তথ্যচিত্র বানায়। সেই তথ্যচিত্রে রিয়েল লাইফ নিয়ে নানাজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
প্রায় তিন বছর সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়েছে আইসিসি। কিন্তু বিশ্বাস্যযোগ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অবশেষে সোমবার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
আল জাজিজার তথ্যচিত্রের নাম ছিল ‘ক্রিকেটস ম্যাচ ফিক্সিারস’। ২০১৮ সালের ২৭ মে এটি প্রচার হয়। যেখানে বিস্ফোরক দাবি করা হয়, ভারতের দুটি টেস্ট ম্যাচ নিয়ে। বলা হয়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ড-ভারত, এবং ২০১৭ সালের মার্চে রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়া-ভারত টেস্ট দুটিতে স্পট ফিক্সিং হয়েছিল।
ওই তথ্যচিত্রে আরও দাবি করা হয়, শ্রীলঙ্কার গালে স্টেডিয়ামের ম্যানেজার ফিক্সারদের পক্ষ হয়ে পিচ বদলে অংশ নেন। ছোট ছোট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোকে টার্গেট করে এসব করা হয় বলেও অভিযোগ উঠে আসে তাদের কাজে।
এই ডকুমেন্টারি প্রচারের পর তদন্ত কমিটি গঠন করে আইসিসি। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে আইসিসি চারজন স্বাধীন তদন্তকারীকে দায়িত্ব দিয়েছিল, যারা বেটিং ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তদন্তে এসব অভিযোগের বিষয়ে শক্ত ভিত্তি পাওয়া যায়নি।
খেলার যে অংশগুলোতে ফিক্সিং করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয় ডকুমেন্টারিতে, সেই অংশগুলো খুবই অনুমিত এবং সেখানে ফিক্সিং করা যুক্তির বাইরে বলে মত দিয়েছেন তদন্তকারী চার বিশেষজ্ঞ।
আইসিসির ‘ইন্টেগ্রিটি’ বিষয়ক মহা আধিকারিক অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘‘ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে করা প্রতিবেদনকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ খেলায় এই ধরনের অপরাধের কোনও স্থান নেই। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হলে পর্যাপ্ত প্রমানাদি থাকতে হবে।’’
সব থেকে বড় কথা, ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আগে এমন তথ্যচিত্র হয়নি, যাও বা হল, সেটি নিয়ে খতিয়ে দেখেও আইসিসি কোনও সিদ্ধান্ত আসতে পারল না। এতে করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও কিঞ্চিৎ হতবাক। তাঁরা এই নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটলেও মনে করা হচ্ছে, তা হলে কী সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।