দ্য ওয়াল ব্যুরো : আন্দ্রে রাসেল মানেই দৈত্যাকৃতি এক মহামানব বোঝায়, যিনি ব্যাটিং করতে নামলেই এক শিহরণ জাগে ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে। তিনিও ক্যারিবিয়ান ক্রিস গেইলের মতো। অনেকে বলেন তিনিই গেইলের নবতম সংস্করণ।
কেকেআর প্রতিটি ম্যাচেই ফেভারিট, যদি বলেন কেন? তা হলে বলতে হবে রাসেলের কথা। কারণ রাসেল একটা হারা ম্যাচকে কিভাবে বের করে দেবেন চোখের পলকে, ধরতেই পারবেন না। যদিও তিনি মনে করেন তিনি তিন নম্বরে নামলে যতটা কার্যকরি, ছয়ে নামলে সেদিক থেকে কিছুটা ম্রিয়মান।
ব্যাট হাতে উইকেটে নামার পর তাঁর একটাই কাজ, বিপক্ষ বোলারদের তছনছ করা। গতবার আইপিএলে ৫২টি ছক্কা মেরেছিলেন রাসেল, ২০০-র উপরে স্ট্রাইকরেট ছিল, করেছিলেন পাঁচশোর বেশি রান।
এই যাঁর বিধ্বংসী রূপের নমুনা, তিনি ক্রিকেট বল ছাড়া সবেতেই ভয় পান, সেই রহস্য ফাঁস করলেন তাঁরই দলের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। এবারই দুবাইয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এক অনুষ্ঠানে কার্তিকের সঙ্গে আড্ডায় বসেছিলেন রাসেল। সেখানেই কেকেআর দলনেতা তাঁর দলের ভয়ঙ্কর অলরাউন্ডার সম্পর্কে এমন কথা বলেছেন।
নিজের ইউটিউব শো ‘হ্যালো দুবাই’য়ে দীনেশ কার্তিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অশ্বিন। সেখানে তিনি কার্তিকের কাছে জানতে চান, ‘‘রাসেলকে বোলিং করার উপায় কী? তার ব্যাটে ঠিকমতো না লাগলেও সেটি বাউন্ডারি থেকে ৮-১০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে। এমনকি স্বাভাবিক ছক্কা মারলেও সীমানা থেকে ১৫ মিটার দূরে যায়। আর যেটা বড় ছক্কা হয়, সেটা সরাসরি মাঠের বাইরে! এমন হলে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক তাঁকে কীভাবে বোলিংয়ের পরিকল্পনা করবে?’’
এই প্রশ্নে কার্তিকও রসিকতা করে জবাব দেন, ‘‘প্রথমত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো, রাসেলকে বোলিং করার সময় সে যেন খারাপ মুডে থাকে, না হলে তোমার কপালে কী অপেক্ষা করছে, কেউ জানে না। এরপর ম্যাচের উইকেট, কন্ডিশনও একটা বিষয়।
তবে কার্তিক এও বলেছেন, ‘‘রাসেলকে হেঁটে ড্রেসিংরুমে যেতে দেখাও ভয়ানক অভিজ্ঞতা। কারণ যাওয়ার সময় সে কারোর দিকে তাকাবে না, যাকে দেখতে পাবে সরিয়ে চলে যাবে দ্রুত। তবে অবশ্যই যদি দ্রুত আউট হয়ে যায়, তা হলেই। না হলে মুড ভালই থাকে। সেইসময় ওকে দেখতে লাগে কুস্তিগীরের মতোই। তাঁর মাসল এবং সবমিলিয়ে দেখতে পুরো মিক্সড মার্শাল আর্ট ফাইটারের মতো মনে হয়।’’
তবে ক্রিকেট বল ছাড়া যে বাকি সবকিছুতেই রাসেলের ভয়, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন নাইট দলপতি। তিনি যোগ করেছেন, ‘‘কিন্তু মজার বিষয় হলো, রাসেল সবকিছুই ভয় পায়। গাড়ি চালাতে ভীষণ ভয় পায়, যদি অ্যাক্সিডেন্ট করে দেয়, এই ভয় থাকে। এমনকি টিম বাস যখন কোনও বাঁক নেয়, সেই সবার প্রথমে চিৎকার করে ওঠে। এমনকি রোলার কোস্টারে উঠতেও ভয় পায়। তাই শুধু প্রচ্ছদ দেখেই বই মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। রাসেলের ক্ষেত্রেও একই বিষয়।’’