
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা শিরে সংক্রান্তিতে এসে ঠেকেছে। কারণ মুম্বইতে বুধবারের বৈঠকে এস সি ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল (ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেড) কার্যত হুমকি দিয়ে রেখেছে। তারা জানিয়েছে, আগে আপনাদের অভ্যন্তরীন বিবাদ মিটিয়ে নিন, না হলে এবারের আইএসএলে খেলতে পারবেন না।
এটাই হওয়ার ছিল। কেননা দিনের পর দিন বিষয়টি অন্যদিকে এগচ্ছে, সেটা ভারতীয় ফুটবলের কারোরই অজানা নয়। গতকাল রাত পর্যন্ত ঠিক ছিল, এফএসডিএল-র বৈঠকে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের কর্তাব্যক্তিরা হাজির থাকবেন না। সেইমতো তাঁরা মিডিয়ার কাছে বিবৃতিও দেয়।
যদিও বুধবার সকালেই ইনভেস্টরদের পক্ষে শিবাজি সমাদ্দার সভায় যোগ দিতে যান। দুবাই থেকে শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙুরের নির্দেশ পাওয়ার পরেই তাঁরা যেতে মনস্থ করেন।
এফএসডিএল-র চেয়ারপার্সন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর পক্ষে রয়েছেন নীতা আম্বানি। তিনি বৈঠকে না থাকলেও তাঁর অধিনস্থ আধিকারিকরা সভায় ছিলেন। এই বৈঠকেই শিবাজি বাবুকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের মধ্যে সমস্যা মেটান। না হলে আইএসএল খেলতে পারবেন না আপনারা।
এমনকি এও জানানো হয়, ‘‘আপনাদের অ্যাপিয়ারেন্স মানি দেওয়ার সময়সীমা ছিল গত ১৪ জুন, তারপর আপনারা আমাদের সেই নিয়ে কোনও অবহিত করেননি। বরং আমরা সভা ডেকে পরিস্থিতি জানছি। তাই দ্রুত আপনারা এই নিয়ে না জানালে ইস্টবেঙ্গলকে ছাড়াই এবারের আইএসএল করতে হবে আমাদের।’’
গতবারও এমন ডামাডোল ছিল। সেবার রিলায়েন্স গোষ্ঠীর তরফ থেকে ইস্টবেঙ্গলের জন্য ইনভেস্টর খুঁজে দেওয়া হয়েছিল, এমনটি কান পাতলে শোনা যায়। এমনকি এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উদ্যোগী হন। সেই রিলায়েন্স গোষ্ঠীই এবার চাপ দিচ্ছে লাল হলুদ প্রশাসনকে।
ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা এদিন জানিয়েছেন, ‘‘এবার যা পরিস্থিতি হল, তাতে করে আমাদের সকলকেই পদত্যাগ করতে হবে ক্লাব থেকে, না হলে বাঁচানো যাবে না ক্লাবকে। কেননা ইনভেস্টরের চুক্তিপত্রে সই করলেই ক্লাবটাই বেচে দেওয়া হবে!’’
শুধু তাই নয়, এফএসডিএল-র আধিকারিকরা ইস্টবেঙ্গল প্রতিনিধিকে এও জানিয়েছেন, তারা যেন নতুন কোনও ইনভেস্টরের ব্যাপারে এখনই উৎসাহী না হয়। কারণ সেইসময় আর নেই। এই পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন কোনও পথ খুঁজতে হবে আপনাদের, আর সেটি খুব দ্রুত।
এদিকে, তার মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের তিন প্রাক্তন ফুটবলার, গৌতম সরকার, মিহির বসু ও সুমিত মুখোপাধ্যায় নিজেরা ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে শ্রী সিমেন্টের এক কর্তার বাড়িতে কথা বলতে যান। কিন্তু গিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। কারণ সেই কর্তাও বলে দেন, চুক্তিপত্রে সই না করলে ইনভেস্টর কোনও আলোচনায় বসবে না ক্লাব প্রশাসনের সঙ্গে।