
বাংলার নির্বাচক বাছাই নিয়ে সিএবি বিতর্কের মুখে, অভিযোগ কোটা ভিত্তিক পছন্দের
বিতর্ক অবশ্য দল বাছাই নিয়ে নয়। কিন্তু সদ্য হয়ে যাওয়া সিএবি সাধারণ বার্ষিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে নতুন নির্বাচকদের নাম। সেই তালিকায় যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের নিয়েই বিতর্ক। নির্বাচকমন্ডলীর চেয়ারম্যান হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শুভময় দাস। বাকি নির্বাচকমন্ডলীর সদস্যরা হলেন, অজয় দাস, জিতেন্দ্র সিং, অলোকেন্দু লাহিড়ী ও প্রবাল দত্ত।
এই নির্বাচকমন্ডলীর যোগ্যতামান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুরো কমিটিতে যাঁদের নির্বাচক করা হয়েছে, তাঁদের নিয়ে একরাশ বিতর্ক। চেয়ারম্যান যিনি হয়েছেন, তিনি কী করে এখনই সিনিয়র দলের নির্বাচকপ্রধান হয়ে গেলেন, সেই নিয়ে কথা উঠছে। শুভময় এমন মাপের ক্রিকেটার নন, যে তিনি মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপদের দল বাছাই করবেন।
শুধু তাই নয়, অলোকেন্দু লাহিড়ী ছাড়া বাকি অজয়, জিতেন্দ্র ও প্রবালদের বাছাই নিয়েও সিএবি-র অন্দরমহলে বিতর্ক উত্থাপিত হচ্ছে। শেষ তিনজন ক’টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন, সেই নিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে জিতেন্দ্র, প্রবালরা একটি করে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন।
লোধা সুপারিশে বলা হয়েছিল, প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেললেই নির্বাচক হওয়া যাবে রাজ্য দলের। কিন্তু তা বলে একটি ম্যাচ খেলেই সোজা সিনিয়র দলের নির্বাচক করে দেওয়া হয়েছে, এটিও জুতসই ব্যাখ্যা নয়। এই নিয়ে সিএবি কর্তারা কেউই কোনও কথা বলছেন না। তাঁদের বক্তব্য, এটি অ্যাপেক্স কাউন্সিল ঠিক করেছে। তাই আমাদের কিছু বলার নেই। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এই বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।
শীর্ষ কর্তারা কথা না বললেও সিএবি-তে এই নিয়েই বিতর্ক। কেউ কেউ বলছেন, সিএবি-র প্রেসিডেন্ট যেহেতু অল্প বয়সী তাই এই ধারাকে বজায় রাখতে নতুনদের তুলে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি সিনিয়র দলের নির্বাচক হতে গেলে নিদেনপক্ষে অভিজ্ঞ হতে হয়। সেটি কেউ নন, একমাত্র শুভময় ও অলোকেন্দু ছাড়া কারোর একাধিক প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই নেই। তাঁরা কী করে বাংলার সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কাঁটাছেড়া করবেন, সেটি কৌতূহলের বিষয়।
একটা সময় বাংলা নির্বাচকমন্ডলীতে ছিলেন অরুণ লাল, উৎপল চট্টোপাধ্যায়, প্রণব রায়, অশোক মালহোত্রা, শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়দের মতো নামী ক্রিকেটাররা। তাঁদের ক্যারিশমা নিয়ে প্রশ্নই ওঠেনি। তারপরে এই কমিটি তাঁদের মেয়াদকালে কী করবেন, সেই নিয়েও সকলে সন্দিহান। গতবার নির্বাচকপ্রধান ছিলেন পলাশ নন্দী, তারও আগে দেবাং, সেই জায়গায় শুভময় কীভাবে, সেই নিয়েও সকলের প্রশ্ন।
যারা সিএবি-র অ্যাপেক্স কাউন্সিলে রয়েছেন, তাঁরা অধিকাংশই ক্লাবের প্রতিনিধি। তাঁদের নিজেদের পছন্দমতো ক্রিকেটারের নাম প্রস্তাব করেছেন নির্বাচকদের জন্য। এটিও যে কোটা ভিত্তিক পছন্দ, সেই অভিযোগও উঠে আসছে।