
বৃষ্টিবিঘ্নিত সিডনিতে পুকোস্কি, লাবুশানের হাফসেঞ্চুরিতে ভাল জায়গায় অস্ট্রেলিয়া
এদিন সিডনিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়ার নতুন ওপেনিং জুটি। একদিকে অভিজ্ঞ ওয়ার্নার। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তরুণ পুকোস্কি। উমেশ যাদব না থাকায় বুমরাহর সঙ্গে নতুন বল করেন সিরাজ। আর নতুন বলের সুইংকে কাজে লাগিয়ে মাত্র ৫ রানের মাথায় স্লিপে পুজারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ওয়ার্নারকে প্যাভিলিয়নে পাঠান সিরাজ।
ওয়ার্নার আউট হতেই ভারতের কাছে সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারের উপর চাপ দেওয়ার। কিন্তু সেটা হল না। তার কারণ ক্যাচ ফসকানো। পুকোস্কির ক্যাচ দু’বার ফসকালেন উইকেট কিপার ঋষভ পন্থ। ফের একবার বিতর্ক দেখা দিল যে শুধুমাত্র কিপিংয়ের জন্যই কি ভারতের টেস্ট দলে ঋদ্ধিমানের সুযোগ পাওয়া উচিত নয়। নইলে এভাবে ক্যাচ ফসকালে ম্যাচও ফসকে যেতে পারে। একবার সহজ রানআউটের সুযোগও নষ্ট হল পুকোস্কির। আর তার ফলে প্রথম ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করলেন পুকোস্কি। জীবনদানকে কাজে লাগালেন তিনি।
অন্যদিকে তিন নম্বরে নেমে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খেললেন মার্নাস লাবুশানে। এই দু’জনের জুটিই অস্ট্রেলিয়ার রানকে এগিয়ে নিয়ে চলল। চায়ের বিরতি পর্যন্ত আর উইকেট পড়েনি। তার মাঝে বৃষ্টির জন্য প্রথম সেশনে মাত্র ৭ ওভার খেলা হয়। তার ফলে প্রথম সেশনের আবহাওয়ার সুবিধাও তুলতে পারলেন না ভারতীয় বোলাররা।
চায়ের বিরতির পরে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার এই জুটিকে ভাঙলেন অভিষেককারী নবদীপ সাইনি। ৬২ রানের মাথায় সাইনির বলে এলবিডবলু হয়ে ফিরে যান পুকোস্কি। চারে নেমে স্মিথ অনেক বেশি আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেন। প্রথম দুই টেস্টে রান পাননি তিনি। তাই এই টেস্টে যেন মুখিয়ে ছিলেন। শুরুতেই বেশ কিছু বড় শট খেলেন তিনি। অন্যদিকে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন লাবুশানে।
প্রথম দিনের শেষ পর্যন্ত আর কোনও উইকেট পড়েনি। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৬। লাবুশানে ৬৭ ও স্মিথ ৩১ করে অপরাজিত রয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে ম্যাচ ফিরতে হলে শুরুতেই এই দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করতে হবে ভারতকে। নইলে কিন্তু ম্যাচে আরও বেশি জাঁকিয়ে বসবে অস্ট্রেলিয়া। এখন দেখার দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভারত কেমন করে।