
অশ্বিনের সেঞ্চুরি, বিরাটের হাফসেঞ্চুরিতে চিপকে বিশাল টার্গেট ইংল্যান্ডের সামনে
দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল চিপকের এই উইকেটে তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করা বেশ শক্ত হবে ভারতের জন্য। মাত্র ৮৬ রানে বিরাটদের আধা দল প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পরে মনে হয়েছিল লাঞ্চের মধ্যেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে ইনিংস। কিন্তু অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও স্পিনার-অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ব্যাটিংয়ে ম্যাচ আরও নিজেদের মুঠোতে নিল ভারত। দু’জনে মিলে ভারতের রানকে এমন জায়গায় নিয়ে গেলেন যাতে এই ম্যাচে বড় রানে জেতার সুযোগ বিরাটদের সামনে।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পুজারা এদিন নামার পরে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। কারণ, সকালে প্রথম ঘণ্টায় দুরন্ত বল করলেন ইংলিশ স্পিনার জ্যাক লিচ। দুর্ভাগ্যক্রমে রান আউট হলেন পুজারা। রোহিতও ২৬ করে আউট হন। রান পাননি রাহানে ও ঋষভ।
একদিকে টিকে ছিলেন বিরাট। প্রথমে অক্ষর পটেল ও তারপরে অশ্বিনের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন বিরাট। অক্ষর বেশি না করলেও অশ্বিন বিরাটকে সঙ্গ দিলেন। শুধু সঙ্গ দেওয়া নয়, বিরাটের থেকে বেশি স্ট্রাইক রেট রেখে রান করছিলেন তিনি। দু’জনেই নিজেদের হাফসেঞ্চুরি করেন। ৯৬ রানের পার্টনারশিপ হয় তাঁদের মধ্যে। লাঞ্চের পরে ৬২ রানের মাথায় মইন আলির বলে আউট হন বিরাট।
অধিনায়ক আউট হলেও নিজের খেলা চালিয়ে যান অশ্বিন। টেল এন্ডারদের সামলে খেলতে থাকেন তিনি। সিঙ্গল, ডাবলসের থেকে বড় শটের দিকেই বেশি ঝুঁকছিলেন। তাঁকে সঙ্গ দিলেন ইশান্ত শর্মা ও মহম্মদ সিরাজ। মইন আলির পরপর তিন বলে ছক্কা, দু’রান ও চার মেরে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি করলেন অশ্বিন। মাত্র ১৩৫ বলে এল সেঞ্চুরি। এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদে কোনও দলের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হল তাঁর।
শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানে আউট হলেন অশ্বিন। ইংল্যান্ডের হয়ে জ্যাক লিচ ও মইন আলি ৪টি করে উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের সামনে ৪৮২ রানের বিশাল টার্গেট। প্রথম ইনিংসে তাদের যা ব্যাটিংয়ের হাল তাতে ভারতের এই ম্যাচ জিততে খুব একটা সমস্যা হওয়া উচিত নয়।