অশোক মালহোত্রা
আইপিএলে এই মহূর্তে দুটি দলই একই বিন্দুতে রয়েছে। কেউ জয়ের মুখ দেখেনি প্রথম ম্যাচে। চলতি আসরে শুরুটা একদমই ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। দুই দলই হেরেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে কলকাতার হার ৪৯ রানে। আবার কোহলির দলের ১০ রানে হেরেছে হায়দরাবাদ।
শনিবার রাতে এই ম্যাচটি এককথায় টানটান হবে। কারণ দুটি দলই সমান উদ্যোগ নিয়ে জিততে নামবে। সেদিক থেকে দ্বৈরথ দেখা যাবে আন্দ্রে রাসেল এবং ডেভিড ওয়ার্নারের। এই অস্ট্রেলীয় আবার কেকেআর দেখলেই জ্বলে ওঠে, অনেকটা রোহিত শর্মার মতোই।
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত কলকাতার বিপক্ষে ২১টি ম্যাচ খেলে ৪৩.৬৩ গড়ে ৮২৯ রান করেছেন ওয়ার্নার, স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৭৭। কলকাতার বিপক্ষে ওয়ার্নারের চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল রোহিত শর্মা। এদিনের ম্যাচে ৭৪ রান রান করলেই রোহিতকে ছাড়িয়ে কলকাতার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে যাবেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক।
শুধু তাই নয়, আইপিএল ইতিহাসে কলকাতার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের রেকর্ডও ওয়ার্নারের দখলে। ২০১৭ সালের আইপিএলে কলকাতার বিপক্ষে ১২৬ রান করেছিলেন ওয়ার্নার। তাই এদিনের ম্যাচ দীনের কার্তিকদের কাছে সহজ হবে না, বরং ওয়ার্নার জুজু নিয়ে মাঠে নামবে তারা।
আমি অবশ্য জানাব কার্তিকদের কৌশল হিসেবে ওয়ার্নারের বিপক্ষে কুলদীপ যাদবকে ব্যবহার করতে হবে। কারণ স্পিনে ওয়ার্নার সাবলিল হলেও কুলদীপের বল রিড করতে সমস্যা হয় ওর।
আর কেকেআরকে ম্যাচ সুবিধে করতে হলে আন্দ্রে রাসেলকে তিনে আনতে হবে, আর কার্তিককে যেতে হবে শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করতে। না হলে দলটির মধ্যে ভারসাম্য আসছে না। সুনীল নারিনের খেলা সবাই ধরে নিয়েছে, তাই শর্ট বল করে ওকে প্রলুব্ধ করে বেশি। সেদিক থেকে গিলের সঙ্গে কার্তিক ওপেন করে দলের কাজে আসতে পারলে সবার দিক ভাল। নিজেও ইনিংসকে টানতে পারবে সহজে, আর গিলের মতো জুনিয়রকেও গাইড করতে পারবে।
কারণ কার্তিক এই ম্যাচে হারলে অব্যর্থভাবে তিন নম্বর ম্যাচে মর্গ্যানকে আমরা অধিনায়কত্ব করলে দেখলে অবাক হবো না। আর রাসেল ছয়ে নামলে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না, বরং তিনে নেমে দলের বড় স্কোরে সহায়তা করতে পারে।