শেষ আপডেট: 9th July 2024 20:03
কলকাতা ময়দানের সঙ্গে ইউরো কাপের প্রত্যক্ষ যোগ। আরও ভাল করে বললে মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ কিবু ভিকুনার সঙ্গে। এই স্প্যানিশ কোচ বর্তমানে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে গড়া ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের কোচ হিসেবে রয়েছেন।
মঙ্গলবারই রাতে ভারতীয় সময়ে সাড়ে বারোটায় ইউরো কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে নামছে স্পেন ও ফ্রান্স। এই ম্যাচে কে জিতবে, সেটি সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু স্পেনের নামী তারকা তথা মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোর ওপর তাকিয়ে রয়েছে স্পেন শিবির। গত ম্যাচে একেবারে ইনজুরি টাইমের শেষে স্পেনকে জয় এনে দিয়েছেন মেরিনো। স্পেনের সেই পরিত্রাতার প্রথম কোচ ছিলেন ভিকুনাই। শুধু তাই নয়, মেরিনো যাঁর পাস থেকে গোল করেছিলেন, সেই দানি ওলমো আবার লাল হলুদ কোচ কুয়াদ্রাতের নিকট বন্ধুর ছেলে।
চলতি ইউরো কাপের সময়ও ভিকুনার সঙ্গে কথা হয়েছে মেরিনোর। এদিন সকালে দ্য ওয়াল-কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভিকুনা জানালেন, ‘‘মিকেল আমাকে ভুলে যায়নি, এখনও বড় কোনও ম্যাচের আগে ও পরে আমাকে ফোন করে। প্রতি কথার আগে ‘স্যার’ ও বলবেই। আসলে মিকেলের বাবা মিগুয়েলের সঙ্গে আমি একটা সময় ওসাসুনাতেই সহকারীর কাজ করেছিলাম।’’
মেরিনো যখন স্প্যানিশ লিগের বি ডিভিশনের ক্লাব ওসাসুনার ফুটবলার ছিলেন, সেইসময় সেই দলের কোচ ছিলেন ভিকুনা। তিনিই মিকেলকে রক্ষণ থেকে মাঝমাঠে খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের সেদিনের সেই স্মৃতি টেনে মোহনবাগান সমর্থকদের ভিকু স্যার বলছিলেন, ‘‘মিকেলের চোরা গতি যে কোনও দলের সম্পদ। দারুণ গতি, ১০০ মিটার ১২ সেকেন্ডে দৌড়নোর ক্ষমতা রাখে। অনুশীলনে বাকিদের স্প্রিন্টেই হারাত বারবার।’’
মোহনবাগানের প্রাক্তন আই লিগ জয়ী কোচের সঙ্গে মিকেলের সম্পর্কের রসায়ন খুবই ভাল। ভিকুনাই জানালেন, মিকেলের যখন ১৮ বছর, সেইসময়ই তাঁকে স্পেনের জুনিয়র দল থেকে সিনিয়র দলে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন ময়দানের স্প্যানিশ কোচই।
সেই কথা বলতে গিয়ে আবেগমুখর ভিকুনা। সল্টলেকের ফ্ল্যাটে বসে বাগানের প্রাক্তন হেডস্যার জানিয়ে দিলেন, ‘‘মিকেলের উত্থান খুবই চমকপ্রদ। না হলে ভাবুন না গত কয়েকমাস আগেও স্পেনের বর্তমান কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে প্রথম এগারোতেই রাখেনি মিকেলকে। কিন্তু মাঝমাঠে এত ভাল দল পরিচালনা করছে, আর প্রথম দল থেকে সরাতেই পারছেন না ফন্তে।’’
স্প্যানিশ ২৮ বছরের তারকার বর্তমান ঠিকানা স্পেনের পামপ্লোনা অঞ্চলেই ভিকুনা নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন। মিকেলের পরিবারের সঙ্গেও নিত্য যোগাযোগ রয়েছেন ময়দানের নামী কোচের। যাঁর হাত ধরে কলকাতার ডায়মন্ড হারবার দলেও নতুন প্রাণসঞ্চার ঘটেছে।