লামিনে ইয়ামালের সেই অনবদ্য গোল।
শেষ আপডেট: 9 July 2024 21:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একেই কি বলে স্প্যানিশ আর্মাডা। ফুটবল কেন এত সুন্দর, আবারও বোঝা গেল ইউরো কাপের সেমিফাইনালে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে স্পেন ফাইনালে। সেমিতে চূর্ণ কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্স। ফল স্পেনের পক্ষে ২-১।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গোল করাই যেন ভুলে গেছে ফ্রান্স। গ্রপ পর্বে ৩ ম্যাচে মাত্র ১ গোল, শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় আর কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে টাইব্রেকারে জয় পেয়েছিল ফ্রান্স।
এদিন ভারতীয় সময়ে গভীর রাতে দারুণ শুরু করেছিল ফ্রান্স। মাত্র নয় মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে গিয়েছিল। তবে এই লিড ধরে রাখতে পারেননি ফরাসিরা।
কিলিয়ান এমবাপের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন রান্ডাল কুলো মুয়ানি। যে কারণে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। চলতি ইউরোতে এই প্রথম প্রথমার্ধে গোলের দেখা পেয়েছিল ফ্রান্স।
Stop that Lamine Yamal. pic.twitter.com/WNuax2D0FF
— Stop That Football (@stopthatfooty) July 9, 2024
স্পেন যে এবারের ইউরোতে দুর্দান্ত, সেটি প্রমাণ করতে সময় নেয়নি। ২১ মিনিটে লামিন ইয়ামালের চোখ ধাঁধানো গোলে সমতায় ফেরে স্পেন। আলভারো মোরাতার অ্যাসিস্ট থেকে বাঁ-পায়ের দারুণ শটে ফরাসিদের জাল কাঁপিয়ে দেন ১৬ বছরের বিস্ময় বালক।
অল্প সময়ের মধ্যে সমতায় ফিরেও গোলের খিদে একটুও কমেনি স্পেনের। ৪ মিনিট পরই আবার গোল করেন স্প্যানিশরা। দানি ওলমোর গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লুইস ডি লা ফুয়েন্তের দল। ডি-বক্সের মাঝখান থেকে দুই ফরাসি ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ও উইঙ্গার।
বিরতির পরে চাপ রাখে ফ্রান্স। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। বারবার গোলের সামনে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছেন এমবাপেরা। তবে স্প্যানিশ কোচ একটা বিষয় শিখিয়ে গেলেন, যে আক্রমণাত্মক ফুটবলের কাছে বেশি রক্ষণ নির্ভর খেললে আরও চাপ বাড়ে। তাই স্পেনও আক্রমণে গিয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। তারা সেইসময় দুটি বদল করে। অপরদিকে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেঁশা জয়ের জন্য এতটাই মরিয়া ছিলেন যে তিনটি বদল করেও কাজের কাজ কিছু করে উঠতে পারেননি।