শেষ আপডেট: 15th July 2024 03:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্পেন ইউরো কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। তারা বার্লিন ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে গিয়েছিল স্পেন। গোলদাতা উইলিয়ামস। ম্যাচের ৪৭ মিনিটের মাথায় গোল করলেন উইলিয়ামস। বক্সের ডান পাশে বল পায় ইয়ামাল। তিনি তাঁর বাঁ দিকে থাকা নিকো উইলিয়ামসকে বলটি দেন, তিনি সেটিকে সহজেই ফিনিশ করেন।
কুকুরেয়ার অসাধারণ পাস থেকে গোল ওয়্যারজাবালের। খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে এগিয়ে গেল স্পেন। তাঁর গোলেই শেষমেশ জিতে গিয়েছে স্পেন।
বিরতির পরে ৭৩ মিনিটে ইংল্যান্ড গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছে। গোলদাতা পামার। তিনি মাঠে নেমেই গোল করেছেন।
পামারের গোলে ম্যাচে ফিরিয়েছিল ইংল্যান্ড। সাকা উইং দিয়ে বক্সের ভিতর বেলিংহামের কাছে বল দেন। তিনি পালমারের জন্য এটি টাচ দেন যিনি বক্সের প্রান্ত থেকে এটি আঘাত করেন। তার স্ট্রাইক নিখুঁত ছিল গোলের পথ খুঁজে নেন। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হয়েছে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। ইউরো কাপ ফাইনাল মানেই টেনশনের ম্যাচ। সেই কারণে শুরুতেই দুটি দলকে এলোমেলো দেখালেও পরে দুটি দল তেড়েফুড়ে আক্রমণে গিয়েছে। বিরতিতে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। বিরতির পরে এগিয়ে গিয়েছেন স্প্যানিশরা। তারপর ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।
পালটা প্রতি-আক্রমণে খেলা হয়েছে প্রথমার্ধে। ১৪ থেকে ১৭ মিনিটের মধ্যে একের পর এক আক্রমণে গিয়েছে ইংল্যান্ড। তাদের বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। একটা সময়ে স্পেনের কারভাজাল বল পান এবং দূরপাল্লার শট নেন, শেষমেশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড সহজে ধরে ফেলেন।
১৫ মিনিট পরেই খেলা ধরে নিয়েছে ইংল্যান্ড। দারুণ একটা পরিকল্পিত আক্রমণ করে তারা। সাকার কাছ থেকে ওয়াকার বল পায়। তিনি ডান দিকের দিকে রান করেছিলেন। তিনি প্রথমবার মাঝখানে এটি পাস করেন কিন্তু লাপোর্তে একটি সহজ ক্লিয়ারেন্স করেন।
বিরতির আগে পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে অনেক সংঘবদ্ধ লেগেছে। তারা ওপেন ফুটবল খেলেছে ম্যাচে। তাদের কোচ সাউথগেটের কৌশল ছিল, প্রথমে বিপক্ষকে বুঝে নিয়ে অ্যাটাকিং থার্ডে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেওয়া। হ্যারি কেন, সাকারা সেইসময় তছনছ করে দিয়েছিলেন স্পেন ডিফেন্স।
বিরতির পরেই স্পেন কোচ ফুয়েন্তে কৌশল বদলে আক্রমণে যেতেই ৪৭ মিনিটে গোল পেয়ে গিয়েছে স্পেন। ওটাও দারুন একটা মুভ ছিল। খেলার ৭০ মিনিট পর থেকেই স্প্যানিশ ফুটবলে ফুল ফুটেছে। তারা আক্রমণে ইংল্যান্ড রক্ষণকে চুরমার করে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হওয়া অধরা থেকে গিয়েছে। প্রায় ছয় দশকেও তাদের ট্রফি খরা কাটল না।