শেষ আপডেট: 1st August 2024 14:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতকে শুটিং থেকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিলেন ভোপালের স্বপ্নিল কুসালে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি থ্রি পজিশন ৫০ মিটার রাইফেল ইভেন্টে পদক আনলেন। তিনি শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে গুলি ছুড়ছিলেন। তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
গতকাল তিনি সপ্তম স্থানে থেকে ফাইনালে উঠেছিলেন। তারপর থেকেই সারা দেশ তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন ২৬ বছরের শুটার। তাঁকে দেখে একবারও মনে হয়নি তিনি প্রথম অলিম্পিক্সে নেমেছেন।
স্বপ্নিলের আইডল হলেন এম এস ধোনি। তিনি মধ্য রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর। গতকালই জানিয়েছিলেন, ফাইনাল ইভেন্টেও ধোনির মতো ঠাণ্ডা মাথা রেখে বাজিমাত করতে হবে। স্বপ্নিল এগোচ্ছিলেন সোনার জন্য, কিন্তু তিনি যখন সেটি হারালেন, কোনও একটি পদকের জন্য মরিয়া ছিলেন। সেই লক্ষ্যে সফল এই শুটার।
এর আগে স্বপ্নিলের বড় সাফল্য বলতে ছিল ২০২১ সালে তিনি বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় শুটিং ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন। সেইপ্রথম তিনি আলোয় আসেন। তারপর কঠিন ট্রেনিং বলতে যা বোঝায়, সেটাই তিনি করে গিয়েছেন। তাঁকে গাইড করেছেন আরও এক পদকজয়ী শুটার গগন নারাং। তিনি ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। সেই নজির এবার ভাঙেন মনু।
ভোপালের এক অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন স্বপ্নিল। তিনি মোট স্কোর করেছেন ৪৫১.৪। যাঁরা এই ইভেন্টে সোনা ও রুপো পেয়েছেন, তাঁরা হলেন যথাক্রমে চিনের ইউ কে লিউ (৪৬৩.৬ পয়েন্ট) ও রুপো আনলেন ইউক্রেনের এস কুলিশ, তিনি স্কোর করেছেন ৪৬১.৩ পয়েন্ট।
এই নিয়ে গেমসের ষষ্ঠ দিনে ভারতের তিনটি পদকই এল শুটিং থেকে। এর আগে মনু ভাকের পেয়েছিলেন জোড়া ব্রোঞ্জ পদক। তাঁর এদিনও একটি বিভাগের ফাইনাল রয়েছে। মনু জিতলে পদক জয়ের হ্যাটট্রিক গড়বেন। সেদিক থেকে স্বপ্নিলকে নিয়ে কোনও প্রত্যাশাই ছিল না। তিনি প্রচারের আড়ালে থেকে বাজিমাত করে গিয়েছেন। বরং তাঁর সতীর্থ ঐশ্বর্য সিং তোমারকে নিয়ে আশা ছিল। তিনি ফাইনালেই উঠতে পারেননি। স্বপ্নিল দেখালেন লক্ষ্য ঠিক রাখলে সবকিছু সম্ভব।
তিনি ২০২২ সালে কায়রোতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জিতেছিলেন টিম ইভেন্টে। ওইবছরই অবশ্য শুটিং বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত বিভাগে দুটি সোনা জিতেছিলেন। কিন্তু অলিম্পিক্স পদকের থেকে বড় কিছু নেই, সেটিও অর্জন করে তারকা হয়ে উঠলেন স্বপ্নিল।