দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2025) পর ইংল্যান্ড সফরে (England Tour) যাবে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। সফরে দুই দলের মধ্যে ৫টি টেস্ট (5 Test) ম্যাচের একটি সিরিজ খেলা হবে। সিরিজটি ২০ জুন থেকে শুরু হবে। এই সিরিজ দিয়ে ভারত পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র (২০২৫-২০২৭) শুরু করবে।

আসন্ন সিরিজের জন্য এখনও ভারতীয় দল (Indian Team) ঘোষণা করা হয়নি। তবে, ইতিমধ্যেই দাবি উঠতে শুরু করেছে যে ২০২৫ সালের আইপিএলে ভাল পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের ইংল্যান্ড সফরের জন্য নির্বাচন করা উচিত।

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারত ০-৩ গোলে হেরেছিল। এরপর বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ৩-১ ব্যবধানে হারায়। ফলে টানা তিনবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ভারতের।

ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কোচ রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) মতে আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে অবশ্যই স্থান পাওয়া উচিত তরুণ সাই সুদর্শনের (Sai Sudarshan)। চলতি আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে ৪৫৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সুদর্শন। এই বাঁহাতি ব্যাটারের কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে, যা ইংল্যান্ড সফরে কাজে লাগবে বলে মনে করছেন শাস্ত্রী।

জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ শাস্ত্রী আইসিসি রিভিউকে বলেছেন, "আমি তরুণ সাই সুদর্শনকে খেলার সকল ফরম্যাটেই দেখছি। সে একজন মানসম্পন্ন খেলোয়াড় বলে মনে হচ্ছে এবং আমি তার উপর নজর রাখব। ইংল্যান্ডে একজন বাঁ-হাতি ব্যাটার হিসাবে সে সফল হতে পারে। ওর টেকনিক এবং যেভাবে খেলে তা দেখে আমার মনে হয়, ইংল্যান্ড সফরে সুদর্শনকে অবশ্যই নেওয়া উচিত।"

সেই সঙ্গে শাস্ত্রী বলেন, শ্রেয়স আইয়ার ভারতের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএলেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। ইংল্যান্ড সফরের জন্য শ্রেয়সকেও দলে রাখা যেতে পারে। রবি শাস্ত্রী বলেন, "শ্রেয়াস আইয়ার ফিরে আসতেই পারে, কিন্তু এটা আবারও একটা প্রতিযোগিতা হবে। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের দেখতে হবে অন্য খেলোয়াড়রা কারা।"

প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সেই সঙ্গে বলেন, "আমি একজন বাঁহাতি বোলার খুঁজব। কোন বাঁহাতি বোলার (left Hand Fast Bowler) ভাল ফর্মে আছে তার উপর নজর রাখব এবং তাকে ষষ্ঠ বোলিং বিকল্প হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করব। এটা যে কেউ হতে পারে। এটা সাদা বলের বিশেষজ্ঞও হতে পারে। যখন সবাই বলে যে, অর্শদীপ সিংয়ের (Arshdeep Singh) মতো কাউকে 'সাদা বলের বিশেষজ্ঞ', তখন আমার ভাল লাগে না। লাল বলের ক্রিকেটে পারদর্শী হওয়ার গুণাবলীও অর্শদীপের আছে।"