শেষ আপডেট: 25th February 2025 12:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর সবাইকে ভুলে যান, স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) এই পাকিস্তান দলের (Pakistan) অধিনায়ক হলেও তাদের হারের মুখ থেকে বাঁচাতে পারতেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) গ্রুপ থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পর এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন পাক মহিলা টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সানা মীর (Sana Mir) । দাবি তুললেন দলকে ঢেলে সাজানোর। অভিযোগ আনলেন টিম বাছাই নিয়েও। কাঠগড়ায় নির্বাচক কমিটি থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট। কাউকেই রেয়াত করেননি প্রাক্তন অধিনায়ক।
ভারতের কাছে হেরে ইতিমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ স্রেফ মর্যাদারক্ষার লড়াই। অথচ ঘরের মাঠে প্রায় তিরিশ বছর বাদে আইসিসির কোনও মেগা টুর্নামেন্ট আয়োজনের বরাত পেয়ে তেতে ছিল গোটা দেশ। তাঁদের উত্তেজনা বিফলে গেছে বাবর আজমদের লজ্জাজনক পারফরম্যান্সে।
এই নিয়ে বলতে গিয়ে সানা মীর রসিকতার সুরে বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন দু’উইকেট পড়ার পর আমার এক বন্ধু মেসেজে জানায়, আমরা এবার নিশ্চিতভাবে হারব। জবাবে আমি লিখে পাঠাই, আজ নয়, যবে থেকে টিম ঘোষণা হয়েছে, তবেই আমরা হেরে গেছি। একটি ম্যাচ নয়, অর্ধেক টুর্নামেন্টই সেদিন আমাদের হাতছাড়া হয়েছে।‘
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘আপনি ধোনি কিংবা ইউনুস খানকে এই দলের অধিনায়ক বানাতে পারেন। কিন্তু তাঁদের কেউই এই টিমকে নিয়ে ম্যাচ জিততে পারবে না। মহম্মদ হাফিজ যেমনটা বলেছেন, দুবাইতে খেলতে হবে জেনেও দুজন পার্ট টাইম স্পিনার নিয়ে যাওয়ার মানে কী? আবরার এখনও ওয়ান ডে-তে নতুন। শেষ ৫ মাসে মাত্র ২টি উইকেট নিয়েছে।‘
এই প্রসঙ্গে মহম্মদ হ্যারিসকে বাদ দেওয়া নিয়েও নির্বাচকদের একহাত নিয়েছেন মীর। বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক শব্দ খরচ করি। হ্যারিস একটা উদ্দেশ্য নিয়ে খেলে। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ হারার পর তাকে বাদ দেওয়া হল। এরপর ও আর চাপমুক্তভাবে কি খেলতে পারবে যখন দল বাছাই স্রেফ গড়ের ভিত্তিতে করা হয়?’
এই প্রসঙ্গে পাক ক্রিকেট টিমের খোলনলচে পুরোদস্তুর বদলে ফেলার ডাক দিয়েছেন তিনি। মীরের বক্তব্য: খুব বেশি ক্ষমতা, অল্প ক্ষমতা—দুটোই ক্ষতিকর। আমরা যদি একই ভুল বারংবার করে যাই, তাহলে কিছুই বদলাবে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যখনই পাক ক্রিকেট বোর্ডে কোনও বদল ঘটে, যিনি ক্ষমতায় আসেন, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে কোন কোন বদল হওয়া জরুরি। কিন্তু তাঁর নীচে যারা রয়েছেন তাঁরা কিছুই বলেন না। আর এর ফলে শেষমেশ কিছুই বদলায় না।‘