শেষ আপডেট: 18th February 2025 15:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক বছর, দু’বছর নয়। প্রায় তিরিশ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে বসতে চলেছে বড়সড় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। যেখানে প্রতিদ্ববন্দ্বিতায় নামবে সাতটি দেশ। একমাত্র ভারতই খেলবে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে।
আর দীর্ঘদিন বাদে এমন মেগা ইভেন্ট আয়োজনের বরাত পেয়ে ঢেলে সাজানো হয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন শহরে আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে তল্লাশি। এমনিতে করাচি, রাওালপিন্ডি এবং লাহোরের তিনটি মাঠকে বেছে নিয়েছে আইসিসি। যদিও কড়াকড়ির দৃশ্য দেশের সর্বত্র ধরা পড়েছে। আর এই বিষয়টিকেই নজরে এনেছেন পাকিস্তানের প্রাক্রন ক্রিকেটার রামিজ রাজা। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান নিরাপদ এবং এমন গ্লোবাল টুর্নামেন্ট আয়োজনে সক্ষম এই বার্তা বাকি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক তরফে অনেক মেহনত ও সাংগঠনিক দক্ষতার প্রয়োজন। আর বিশ্বের তামাম নাগরিকেরা ইতিমধ্যে তা বুঝতেও পেরেছেন।‘
যদিও রামিজের মতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সুষ্ঠুভাবে আয়োজন শুধুমাত্র পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই সবুজ সংকেত দেবে না। পাশপাশি এর বৃহত্তর তাৎপর্যও রয়েছে। আর সেটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি। রামিজ বলেন, ‘চাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানচিত্রে পাকিস্তানের অবস্থানকে সহজ ও স্বাভবিক করতে পারে। এই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে নাগরিকদের স্বাদেশিকতা। পাশাপাশি সফল আয়োজন পাকিস্তানের জেদ ও প্রতিরোধ নিয়ে একটা প্রছন্ন বার্তাও পৌঁছে দিতে পারে। দেশের তরুণ সমাজের যোগদান, সাংস্কৃতিক প্রভাব, গ্লোবাল ইমেজ তুলে ধরাও এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এবার আমাদের সবকিছু ঠিকঠাক করে দেখানোর পালা।‘
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমালোচনায় সরব হয়েছিল ভারত। এরই ধুয়ো তুলে আইসিসির উপরে চাপ বাড়ায় তারা। যারা জেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ স্টেজ এবং নকআউট স্তরের সমস্ত ম্যাচ (ফাইনাল সুদ্ধ), যেখানে ভারত খেলবে, সেগুলি দুবাই ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি।