Advertisement
বিরাট কোহলি
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 March 2025 13:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স। শনিবার চলতি আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের আগেই বিরাট-জ্বরে কাঁপতে শুরু করেছিল কলকাতা। ঢেউ আছড়ে পড়েছিল ইডেনেও। নাইটদের জার্সির চাইতে বেশি বিক্রি হয়েছে বিরাটের নাম লেখা জার্সি। এমনটাই জানিয়েছিলেন বিক্রতারা।
প্রাক-ম্যাচের আবহ যদি এমনটা হয়, তাহলে লড়াই শুরুর পর উত্তাপ যে চড়তে শুরু করবে, সেটা বলাই বাহুল্য। আর এই নিয়ে যেমনটা অনুমান করা হয়েছিল, ম্যাচ চলাকালীন ঠিক তেমনটাই ঘটে। তখন ব্যাট করছে আরসিবি। ব্যাট হাতে বিরাট রীতিমতো শাসন করেছেন কলকাতার বোলারদের। ঘরের দল হারছে। তবু ইডেনের স্টেডিয়াম জুড়ে কোহলির নামে জয়ধ্বনির কমতি নেই।
ঠিক হাফ সেঞ্চুরির আগে, ম্যাচের ভবিতব্য যখন একপ্রকার ঠিক হয়ে গিয়েছে, সেই সময় এক উৎসাহী সমর্থক গার্ডরেল ডিঙিয়ে দৌড়ে যান মাঠে। সোজা ক্রিজে পোঁছে কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। লুটিয়ে পড়েন পায়ে। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাঁকে ধরে নিয়ে গেলেও বিরাটকে গোটা ঘটনায় দৃশ্যতই হতভম্ব দেখায়। পরে ওই ভক্তকে আটক করে পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে গত পরশু বিসিসিআইয়ের তরফে কিছু জানানো না হলেও গতকাল এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মন্তব্যের জেরে বাঁধিয়েছেন বিতর্ক। ওই অনুরাগী যুবক কীভাবে স্ট্যান্ড টপকে মাঠে দৌড়ে গেলেন, তার ভিডিও এক্স-হ্যান্ডেলে শেয়ার করে রাজীব ক্যাপশনে লেখেন, ‘বিরাটের ভক্তদের ভালবাসা সত্যি দুর্দান্ত’।
Amazing fan following of @imVkohli https://t.co/L4GUkdJgRq
— Rajeev Shukla (@ShuklaRajiv) March 23, 2025
আর এটা দেখেই রেগে খাপ্পা ক্রিকেট অনুরাগীরা। বিসিসিআইয়ের পদস্থ কর্তা হিসেবে নিরাপত্তার এমন ত্রুটিকে তিনি যেভাবে নায়ক-বন্দনার আড়ালে ঢেকেছেন, তা যে আখেরে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা মনে করিয়ে দেন কেউ কেউ। একজন যেমন মন্তব্য করেন, ‘বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার এ ধরনের নিরাপত্তার গলদকে উৎসাহ দেওয়াটা অনুচিত। ঈশ্বর না করুন, যদি আগামি দিনে কোনও ক্রিকেটার আহত হন, তাহলে কে দায়ী থাকবে? দয়া করে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করুন।‘
Don't glorify it, especially as a BCCI official. That was a security lapse. If you normalize such things and let security remain lenient, someday miscreants too will enter and attempt to harm players.
— THE SKIN DOCTOR (@theskindoctor13) March 23, 2025
Plenty of examples from the past exist. Remember the Monica Seles stabbing?
আরেকজন একই সুরে রাজীবকে তাঁর আদত দায়িত্বের পাঠ শেখানোর সূত্রে জুড়ে দেন, ‘আগেও এ ধরনের বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। মনিকা সেলেসের ছুরিকাহত হওয়া মনে আছে তো?’
As the Vice President of the BCCI, you shouldn’t encourage such security breaches by fans under the guise of 'fan following.' God forbid, if something goes wrong with a player tomorrow, who will be held responsible? Please improve the security arrangements.
— Jahazi (@Oye_Jahazi) March 23, 2025
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ৩০ এপ্রিল হামবুর্গে সিটিজেন কাপ খেলতে নামেন প্রাক্তন টেনিস তারকা মনিকা সেলেস। বিরতির সময় একজন ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে কোর্টে ছুটে যায়। তারপর সেলেসকে আক্রমণ করে। বেশ কয়েকবার তাঁর কাঁধ লক্ষ্য করে ছুরি চালায় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেলেসকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সে যাত্রা প্রাণে বেঁচে গেলেও কেরিয়ারের সেই ধাক্কা কাটিয়ে সেভাবে ফিরে আসতে পারেননি মনিকা।
Advertisement
Advertisement