শেষ আপডেট: 6th February 2024 20:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জলপাইগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে জলপাইগুড়ির থানা মোড় থেকে বাবুপাড়ার স্বর্গীয় দাজু সেনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি নতুন নামকরণ করা হল "ইস্টবেঙ্গল সরণি" নামে।
ক্লাবের প্রাক্তন অধিনায়ক আলভিটো ডি'কুনহা, রহিম নবি, ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব ১৭ টিমের ফুটবলার দেবজিৎ রায়, প্রজ্জ্বল সাহা, আশিস রায়সহ লাল হলুদ এর অগণিত সভ্য সমর্থক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উৎসবকে রঙিন করে তুলেছিলেনI এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে জলপাইগুড়ি শহর রঙিন হয়ে উঠেছিল লাল হলুদ পতাকায়I
এই "ইস্টবেঙ্গল সরণির" ঠিক পাশের রাস্তায় বাড়ি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কিংবদন্তি গোলরক্ষক মণিলাল ঘটকের। ১৯৪৯-৫৪, ইস্টবেঙ্গল দুর্গের শেষ প্রহরী ছিলেন মণিলাল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ২০১০ সালে তাঁকে জীবনকৃতি সম্মানে সম্মানিত করে।
জলপাইগুড়ি তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গ হল ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় ঘর। সমগ্র উত্তরবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে লাল হলুদের লক্ষ লক্ষ সমর্থক। ১৯২০ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠার পিছনে শৈলেশ বসুর একটি বিরাট ভূমিকা ছিল। ১৯২৪ সালে তিনি ব্যবসায়িক কাজে দিনাজপুর চলে যান আর সেখানে দিনাজপুর ক্লাবে ক্রিকেট খেলাও চালু করেন।
শৈলেশ বসুর পাশাপাশি কোচবিহার মহারাজার ক্রিকেট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। চার বছর দিনাজপুরে কাটিয়ে ১৯২৮ সালের শেষের দিকে তিনি ঢাকার মালখাননগর ফিরে আসেন।
১৯২৫ সালে কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ১-০ গোলে হারায় চিরপ্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে। ওই ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছিলেন প্রখ্যাত ফরোয়ার্ড নেপাল চক্রবর্তী। তিনি তাঁর শেষ জীবনটা কাটিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি শহরে। ১৯৬৭-৭৩, পরিবার নিয়ে তাঁর ঠিকানা ছিল জলপাইগুড়ি পুলিশ কোয়ার্টারের পাশের সরকারি আবাসন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ২০১৯ সালে ক্লাবের শতবর্ষের মঞ্চে শতাব্দীর সেরা কোচের সম্মানে সম্মানিত করেছিলেন কিংবদন্তি প্রশিক্ষক পি কে ব্যানার্জিকে। গত ১০৩ বছরে ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব পিকে-র। সেই কিংবদন্তি কোচের জন্ম ২৩ জুন, ১৯৩৬ সালে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকেই তিনি তাঁর প্রাথমিক পাঠ নিয়েছিলেন।
১৯৪৭ সালে জলপাইগুড়িতে জন্ম আরও এক প্রখ্যাত ফরোয়ার্ড সুকল্যাণ ঘোষ দস্তিদারের। ১৯৭৫ সালে তিনি সোনার লাল হলুদ দলের সদস্য ছিলেন।