শেষ আপডেট: 8th February 2025 18:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রীতম কোটাল। এই নামটা বাঙালি ফুটবল সমর্থকদের কাছে আলাদা করে বলার দরকার নেই। একটা সময় তিনি মোহনবাগান ক্লাবের 'ঘরের ছেলে' ছিলেন। আপাতত চেন্নাইন এফসি-র হয়ে খেলেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা বইমেলায় IFA-র স্টলে এসেছিলেন। সেখানেই একটি ছোট ইন্টারভিউ দেন। জানিয়েছেন, মোহনবাগান ক্লাব ছাড়ার সময় কিছুটা হলেও তাঁর কষ্ট হয়েছিল।
ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, স্ত্রী সোনেলাকে নিয়ে কলকাতা বইমেলায় এসেছিলেন প্রীতম। IFA-র স্টলে এসে মোহনবাগানের এই প্রাক্তন ফুটবলার একটি ছোট ইন্টারভিউ দেন। ইন্টারভিউ চলাকালীন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মোহনবাগান ছাড়ার ঘটনায় তিনি আদৌ দুঃখ পেয়েছিলেন কি না?
জবাব দিতে গিয়ে প্রীতম প্রথমে খানিক থমকে যান। এরপর বললেন, 'একটা সময় অবশ্যই কষ্ট হয়েছিল। যেদিন শুনতে পেলাম যে আমি ট্রান্সফার মার্কেটে অ্যাভেলেবল, তখন সামান্য হলেও কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে বাকিটা আমি ওর (সোনেলা) সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আমার কী চিন্তাভাবনা, আমার কী লক্ষ্য, সবটাই জানিয়েছিলাম। কারোর জন্য় কিছুই আটকে থাকে না। এটা আমার সামনে সুযোগের একটা নতুন দরজা খুলে দিয়েছিল। বাংলার বাইরে আমি কতটা সফল হতে পারি, সেই চ্যালেঞ্জটাও নিয়েছিলাম আমি।'
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ইতিবাচক দিকটাই আমি গ্রহণ করেছিলাম। আমি এখনও একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। আমার লক্ষ্যটা অর্জনের জন্য আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এটাই আমার মনে হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তটা আমি একেবারে নেতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করিনি। কেন আমাকে যেতে হচ্ছে, কী কারণে যেতে হচ্ছে, তা নিয়ে আমি একেবারে মাথা ঘামাইনি।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোহনবাগানের হয়ে খেলেছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে তিনি এটিকে-তে লোনে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৭-২০১৮ মরশুম খেলেন দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে। ২০১৮-২০২০ মরশুমে আবারও এটিকে শিবিরে কামব্যাক করেন তিনি। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফের মোহনবাগান ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তিনি নাম লিখিয়েছিলেন। এরপর বাগান ম্য়ানেজমেন্ট তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলেন। চলতি বছরই চেন্নাইন এফসি-তে যোগ দিয়েছেন।