শেষ আপডেট: 5th August 2024 07:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেন জনসন এমন দৌড়তেন। স্বপ্নের দৌড়বিদ ছিলেন কার্ল লুইস। তিনি মার্কিন মুলুকে সান্তা মনিকা ক্লাবে নিভৃতে অনুশীলন করতেন। দিন তো বটেই রাতের অন্ধকারে রিফ্লেক্স বাড়ানোর জন্য চোখ বন্ধ করে ছুটতেন।
নোয়া লাইলস তো তাই। তাঁর আইডল লুইসই। কেউ যখন ভাবেনি তিনি প্যারিস অলিম্পিকের দ্রুততম মানব হবেন, তিনি জানতেন এই কঠিন কাজ পারবেন। হাওয়ার চেয়েও বেশি গতিবেগে ছুটে নোয়া প্রমাণ করলেন, মানুষ ইচ্ছে করলে সব পারে।
রবিবারই মেয়েদের দ্রুততমা হয়েছিলেন সেন্ট লুসিয়ার আলফ্রেড। তাঁকে কেউ আমল দেয়নি, কিন্তু তিনি অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন। ছেলেদের নোয়াও তাই। ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন ৯.৭৯ সেকেন্ডে। কী করে রক্তমাংসের একজন মানুষ এত কম সময়ে দৌড়তে পারেন, সেই নিয়ে গবেষণা হতে পারে।
জ্যামাইকার উসেইন বোল্ট গত তিনটি অলিম্পিক্স ইভেন্টের ১০০ মিটার দৌড়ে সেরা হয়ে সোনার হ্যাটট্রিক করেছেন। বোল্ট যতদিন পেরেছেন ততদিন তিনিই সেরা। তিনি না পারলেও জ্যামাইকার কেউ না কেউ জিতেছেন শত মিটার দৌড়। কিন্তু জ্যামাইকার বাইরে কোনও অ্যাথলিট এভাবে চমক দিতে পারেন, সেটি ভাবা যায়নি। তবে আমেরিকার কিশানে থমসনও যে ফর্ম দেখিয়েছেন, তারও তারিফ করতে হয়। তিনি এক সেকেন্ডের ১০০০ ভাগের কম সময়ে দৌড় শেষ করেছেন। নোয়া জিতেছেন ফটো ফিনিশে।
অলিম্পিকের একশ মিটার দৌড় হল সবচেয়ে গ্ল্যামারাস ইভেন্ট। যার জন্য দিনের সব ইভেন্ট শেষ হয়ে গেলে এটি হয়। কিছুক্ষনের জন্য পুরো স্টেডিয়াম অন্ধকার করে দেওয়া হয় দৌড়বিদদের একাগ্রতার জন্য। এদিনও সেটি করে দেওয়া হয়েছিল স্টাড ডি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে। সেইসময় দেখা গিয়েছে নোয়া একমনে নিজের মনে কথা বলছেন। কখনও আবার লাফাচ্ছেনও। তখনও বোঝা যায়নি হিট ও সেমিতে কোনক্রমে দৌড় শেষ করা অ্যাথলিটের মধ্যে এত আগুন রয়েছে। শেষে দেখা গেল তিনিই আগামী চারবছর বিশ্বের সেরা দৌড়বিদের তকমা পেলেন।
ওই যে কথায় আছে না, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। নোয়ার ক্ষেত্রেও সেই প্রবাদ দারুণভাবে প্রযোজ্য। চ্যাম্পিয়ন তৈরি হয়ে আসেন না, তিনিও ঘষেমেজে তৈরি হন। আজও প্রমাণিত।