শেষ আপডেট: 24th February 2025 15:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো সোমবার এক মারাত্মক সতর্কতা জারি করল। আয়োজক দেশ পাকিস্তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী বিদেশিদের পণবন্দি করার ছক কষেছে জঙ্গিরা। দেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলিকে এমনই চক্রান্তের বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আগত বিদেশি অতিথিদের অপহরণ করে অর্থ আদায় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টার গোপন ছক ফাঁস করে দিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা।
তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানে সক্রিয় গুপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠীরা এই মতলব এঁটেছে। সিএনএন-নিউজ এইটটিনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, আইসিসের খোরাসান প্রদেশ গোষ্ঠী ও বালুচিস্তানকেন্দ্রিক জঙ্গি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাক আইবি-র হুঁশিয়ারির পরপরই সীমান্ত এলাকা এবং অন্যান্য জায়গায় শক্তিশালী দল মোতায়েন করা হয়েছে। দেশে অতিথি হিসেবে আসা বিদেশি খেলোয়াড় ও দলের কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে। এই সতর্কতায় পাকিস্তানের মতো দেশে আন্তর্জাতিক ক্রীড়ানুষ্ঠান করার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত প্রথম থেকেই জঙ্গিপনা নিয়ে আপত্তি তুলে পাকিস্তানের মাটিতে খেলার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।
পাক আইবির তথ্য অনুযায়ী, ইসলামিক স্টেট খোরাসান গোষ্ঠী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ দিতে আসা অতিথিদের অপহরণ করে অর্থ আদায়ের ছক কষেছে। বিশেষত তাদের লক্ষ্য চিন ও আরবিদের উপর। এর পরেই দেশের বন্দর, বিমানবন্দর, অফিস এবং আবাসিক এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা অপহরণ করে রাখার জন্য শহরতলি এলাকায় নিরাপদ গোপন আস্তানার খোঁজ করছে। বিশেষত যেসব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা নেই এবং কেবলমাত্র রিকশ ও মোটর সাইকেল পৌঁছতে পারে এমন গলিঘুঁজির মধ্যে ঘর দেখার কাজ চলছে। রাতে নিরাপত্তা রক্ষীদের নজর এড়িয়ে এইসব জায়গায় নিয়ে যাওয়ার তাল করছে। প্রসঙ্গত, এর আগে শাংলায় গতবছর চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের উপর হামলা ও ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমের উপর হামলার মতো ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে, আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাও একইভাবে সরকারি সংস্থাগুলিকে আইএসকেপির সম্ভাব্য হামলা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এর আগে খোরাসান গোষ্ঠীর স্বীকৃত আল আজিম সংবাদমাধ্যম ১৯ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছিল। যেখানে ক্রিকেটকে পশ্চিমী সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্রিকেট হল এক মস্তিষ্ক যুদ্ধ যা থেকে ইসলামিদের দূরে থাকা উচিত। কারণ জিহাদি আদর্শের পরিপন্থী এই খেলা। আফগানিস্তান ক্রিকেট টিমকে সমর্থন করার জন্য তালিবানেরও নিন্দা করেছিল এই গোষ্ঠী।