শেষ আপডেট: 10th November 2023 15:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নের কফিনে শেষ পেরেকটা হয়তো বৃহস্পতিবারই পুঁতে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের জয়ের কারণে ইডেনে নামার আগে বড় ধাক্কা খেলেন বাবর আজমরা। পাক দলের সেমিফাইনালে খেলা এখন প্রায় অসম্ভব!
কী বলছে অঙ্ক? পাকিস্তানকে শেষ চারে যেতে গেল কঠিন অঙ্কের হিসেবে খেলতে হবে। বিশেষত নেট রানরেটের হিসেবে কিউয়িদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ড গ্রুপ পর্ব শেষ করল ১০ পয়েন্টে। নেট রানরেট +০.৭৪৩। সেখানে পাকিস্তানের পয়েন্ট ৮। বাকি একটি ম্যাচ। শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতলে পয়েন্ট ১০ হবে ঠিকই, কিন্তু নেট রানরেটে নিউজিল্যান্ডের কাছে পৌঁছন প্রায় দুঃসাধ্য। বর্তমানে তাদের নেট রানরেট +০.০৩৬।
নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যে নেট রানরেটের ফারাক ০.৭০৭! পাকিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে গেলে এই রানরেটের বেশি অর্জন করতে হবে। এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এটা সম্ভব? অঙ্কের হিসেবে, পাকিস্তান যদি প্রথমে ব্যাট করে তবেই কিছুটা সম্ভব নেট রানরেট বাড়ানোর। ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানে হারাতে হবে তাদের।
এবার যদি পাকিস্তান পরে ব্যাট করে, তাহলেও সেমিফাইনালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ প্রয়োজনীয় নেট রানরেট সংগ্রহ করতে বাবরদের ম্যাচ জিততে হবে মাত্র ২.৪ ওভারে।
ইডেনে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ অনেকের কাছেই 'নিয়মরক্ষা'র হলেও এই ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে ইংল্যান্ডের খেলা না খেলা নির্ভর করছে এই ম্যাচের ওপর। পয়েন্ট টেবিলে প্রথম ৭টি দল সুযোগ পাবে টুর্নামেন্টে। সেই হিসেবে ৭টি দলের মধ্যে টিকে থাকতে চাইবে ইংল্যান্ড। তাই এই ম্যাচ জেতা তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই পাক দলকে নিয়ে একেবারেই আশাবাদী ছিলেন না ও দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও ইমরান খানের পাকিস্তান দলের হাল এতটা খারাপ না হলেও বেশ নড়বড়েই ছিল। তবে সেখান থেকেও পাক দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়।
'৯২-এর বিশ্বকাপজয়ী পাক দলের অন্যতম সদস্য ওয়াসিম আক্রম বারবার বলেছেন, এবারের পাক দল একেবারেই অপ্রস্তুত। সেই কথা বলতে গিয়ে আক্রম টেনে এনেছেন ভারতের কথাও। তাঁর কথায়, ভারত যতই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাক না কেন, বিশ্বকাপের আগে ঠিক নিজেদের গুছিয়ে নেয়। প্রচুর প্র্যাকটিস ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের সেরা দল নিয়ে মাঠে নামে। চলতি বিশ্বকাপে সেটাই বড় প্রমাণ। সেখানে পাকিস্তান ভেবেছিল 'স্টেজে মেকআপ' দেবে। কিন্তু হল কই?
ইডেনের পিচে সবুজের আভা রয়েছে। আর এই পিচে ইংরেজ পেসারদের সামলানো একটু চাপই আছে বাবরদের। তাই নেটে পাক দলকে দেখা গেল পেসারদের বলে বেশি অনুশীলন করতে। সেইসঙ্গে বড় শট খেলতে। অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়া আর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া একই ব্যাপার!