শেষ আপডেট: 27th January 2025 13:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক বছর, দু’বছর নয়। পাক্কা ৩৪ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ঘরের মাঠে কোনও টেস্ট ম্যাচ হারল পাকিস্তান। তাও লড়ে নয়, নেহাতই একপেশে লড়াইয়ে বাবর আজমদের পরাস্ত করলেন কেভিন সিনক্লেয়াররা। ম্যাচের নায়ক স্পিনার জমেল ওয়ারিকন। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকুল্যে ন’খানা উইকেট তুলে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মুলতানে পাক ব্রিগেডকে ১২০ রানে হারানোর সুবাদে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অমীমাংসিতভাবেই শেষ হল দুই টেস্টের সিরিজ। এর আগে ১২৭ রানে প্রথম টেস্ট জিতে নেয় পাকিস্তান। আর দ্বিতীয় টেস্টেই ল্যাজেগোবড়ে হল তারা।
অথচ অ্যাডভান্টেজের কথা চিন্তা করে ঐতিহ্য মেনে মুলতানে ঘূর্ণি উইকেটই বানিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিজেদের বানানো তেতো ওষুধ নিজেদেরই গিলতে হল শেষমেশ। সৌজন্যে ওয়ারিকনের বিধ্বংসী স্পেল। এই টেস্টে ন’টি এবং সিরিজে উনিশটি উইকেট দখল করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার।
এর আগে ১৯৯০ সালের নভেম্বর মাসে ফয়সলাবাদে শেষবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৯৭ এবং ২০০৬ সালে আরও দু’বার সফরে এসেছিল তারা। কিন্তু একটিও ম্যাচ না জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরে ফেরে।
উল্লেখ্য, চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ২৫৪ রানের। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৭৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলে তারা। সৌদ শাকিলই ছিলেন পাক বাহিনীর একমাত্র ভরসা। কিন্তু কেভিন সিনক্লিয়ারের বলে মাত্র ১৩ রানে আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান করেন বাবর আজম (৩১)। মহম্মদ রিজওয়ান ২৫ রান যোগ না করলে আরও বেশি করে মুখ পুড়ত পাকিস্তানের। শেষ পর্যন্ত ১৩৩ রানেই পৌঁছতে পারে তারা।
এই লজ্জার হারের ফলে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সবার নীচে সবার পিছে (নয় নম্বরে) নেমে গেল পাকিস্তান। তার এক ধাপ উপরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শীর্ষের দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী জুনে লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সেরার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দেশ।