শেষ আপডেট: 22nd October 2024 14:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রত্যেক অ্যাথেলিট স্বপ্ন দেখেন যে তিনি অলিম্পিক্স টুর্নামেন্টে দেশের হয়ে পদক জয় করছেন। এই স্বপ্ন পূরণ করতে একজন অ্যাথলিট শৈশব থেকে কৈশোরের একাধিক স্বপ্ন বিসর্জন দেন। কোনও একটি খেলায় নৈপুণ্য অর্জন করা একেবারে সহজ কাজ নয়। অ্যাথলিটরা জীবনের একটা বড় অধ্যায় এই খেলাধুলোয় সমর্পণ করে থাকেন। কিন্তু, অলিম্পিক্স টুর্নামেন্টে ভারতের কোনও মহিলা পদকজয়ীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা হয়, তবে তা শুনতে খুবই খারাপ লাগে।
অলিম্পিক্স টুর্নামেন্টে ইতিপূর্বে ভারতের হয়ে পদক জয় করেছেন মহিলা কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক। সম্প্রতি তিনি একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। সেখানে উল্লেখ করেছেন, ছোটবেলায় তাঁর শিক্ষক হামেশাই তাঁকে যৌন হেনস্থা করতেন। এমনকী, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় খারাপভাবে স্পর্শও করার চেষ্টা করতেন তিনি। সাক্ষী আরও যোগ করেছেন, এই কথাগুলো পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেননি। কারণ শিক্ষকের পরিবর্তে তাঁকেই দোষারোপ করা হত।
সাক্ষী মালিক তাঁর আত্মজীবনীতে গৃহশিক্ষকের ওই জঘন্য কাজের ব্যাপারে উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, 'আমি কখনই এই ব্যাপারে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারিনি। কারণ আমি মনে করতাম যে এটা আমারই দোষ। স্কুলে পড়ার সময় আমার গৃহশিক্ষক হামেশাই আমাকে যৌন নিগ্রহ করত। যখন-তখন পড়ানোর নামে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠাত। আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করত। একটা সময় তো টিউশন ক্লাসে যেতেই আমি ভয় পেতাম। কিন্তু, মায়ের কাছে এই কথাটা কোনওদিন বলতে পারিনি।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১৬ সালে আয়োজিত রিও অলিম্পিক্সে সাক্ষী মালিক ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি কমনওয়েলথ গেমসেও তিনটে পদক জয় করেন। ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসে সাক্ষী রুপোর পদক জিতেছিলেন। ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে জেতেন ব্রোঞ্জ পদক। অবশেষে ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি সোনার পদক জয় করেন।