Date : 12th May, 2025 | Call 1800 452 567 | [email protected]
Airports Reopen: নতুন করে অশান্তি নেই, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির পর খুলে গেল দেশের ৩২টি বিমানবন্দরবাড়ির এক কোণে বাচ্চার জন্ম দিয়েছে বেড়াল! জানেন এটা কীসের লক্ষণ?কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু হল নাসরিনের, জাল স্যালাইনকাণ্ডের পর ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে'না থাকবে বাঁশ, না বাজবে বাঁশি', POK নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপেরVirat Kohli Retirement: টেস্ট থেকে অবসর বিরাট কোহলির, ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, ‘সহজ না হলেও এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত’নিয়োগ থেকে বঞ্চিত, এবার শিক্ষা দফতর ঘেরাওয়ের ডাক শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চেরIndia-Pakistan Tension: আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীর ইস্যু ওঠায় উদ্বেগ প্রকাশ ওমরের, বললেন 'এক লহমায় সব কেমন বদলে গেল...'Virender Sehwag: ‘একটি দেশ সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করে, অন্য দেশ সুরক্ষা দেয়’, পাকিস্তানকে বিঁধে ফের সরব সেহওয়াগIndia-Pakistan Ceasefire: সংঘর্ষ বিরতি বহাল থাকলে সিন্ধু জল বণ্টন, সিমলা চুক্তি কি ফের কার্যকর করবে ভারতBarcelona vs Real Madrid: কাজে এল না এমবাপের হ্যাটট্রিক, ফের 'এল ক্লাসিকো' জিতল বার্সেলোনা, হাতের মুঠোয় লা লিগা
Sita Sahu

অলিম্পিকে জিতেছিলেন পদক, অর্থের অভাবে ফুচকা বেচেন ভারতের এই মহিলা অ্যাথলিট

Advertisement

স্পেশাল অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে জোড়া পদক জয় করলেও, সীতার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও বদল দেখতে পাওয়া যায়নি।

অলিম্পিকে জিতেছিলেন পদক, অর্থের অভাবে ফুচকা বেচেন ভারতের এই মহিলা অ্যাথলিট

ফুচকা বিক্রি করছেন ভারতের ব্রোঞ্জ পদকজয়ী অলিম্পিয়ান সীতা সাহু

Advertisement

শেষ আপডেট: 12 September 2024 12:20

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতবর্ষে এমন বহু অ্যাথলিট রয়েছেন, যাঁরা অলিম্পিক্স টুর্নামেন্টে পদক জয় করলেও আজ তাঁদের কেউ আর মনে রাখে না। এমনই একজন অ্যাথলিট হলেন মধ্যপ্রদেশের সীতা সাহু। অলিম্পিক থেকে পদক জয় করলেও, তাঁর পরিবারে আর্থিক পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। দেশের এই 'রত্ন'কে আজ ফুচকা বিক্রি করে দু'বেলার অন্ন সংস্থান করতে হচ্ছে।

মধ্যপ্রদেশের রিবা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সীতা সাহু। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাঁকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। ২০১১ সালে আথেন্সে আয়োজিত স্পেশাল অলিম্পিক্সে ২০০ মিটার এবং ১,৬০০ মিটার অংশগ্রহণ করেছিলেন। দুটো ইভেন্টেই তিনি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। সীতার এই সাফল্যের পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো তো অনেক দুরের কথা, সামান্য তাঁর খবরটুকু নেয়নি। ২০১১ সালে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘোষণা করেছিলেন, সীতার জন্য় একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু, ঘোষণাই সার! কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

সীতা সাহুর ভাই ধর্মেন্দ্র সাহু বলেন, 'স্পেশাল অলিম্পিক্সে আমার দিদি জোড়া ব্রোঞ্জ পদক জয় করলেও, সরকারের তরফ থেকে কোনও সাহায্য করা হয়নি। না দিদিকে খেলার ব্যাপারে কোনও সাহায্য করা হয়েছে।'

দেশের জন্য পদক জিতেও বেচতে হয় ফুচকা

স্পেশাল অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে জোড়া পদক জয় করলেও, সীতার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও বদল দেখতে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা ঠেলাগাড়িতে পাপড়ি চাট বিক্রি করতেন। আর এভাবে প্রতিদিন তিনি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা উপার্জন করতেন। কিন্তু, বাবা অসুস্থ হওয়ার পর সীতা নিজের কাঁধেই সংসারের জোয়াল টানতে শুরু করেন। তিনি ফুচকা বিক্রি করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সীতা স্কুলেও যেতে পারেননি। বাবা-মা এবং দুই ভাইকে তিনি এক কামরার ঘরে তিনি বসবাস করেন।

প্রসঙ্গত, পদক জয়ের তিন বছর পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা তাঁকে রীতিমতো হতাশ করে দেয়। এই পরিস্থিতির কিছুটা সুরাহা করতে তিনি ভোপালে গিয়ে শিবরাজ সরকারের দ্বারস্থ হন। ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার এবং এনটিপিসি যৌথভাবে তাঁর হাতে ৯ লাখ টাকা তুলে দিয়েছিল। অবশেষে সীতার পরিবারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নত হয় এবং তিনি আবারও অনুশীলনে মনোনিবেশ করতে পারেন। 

সীতার এই কাহিনী শোনার পর আপনারা কী বলবেন? দেশের খেলাধুলোকে উৎসাহিত করতে আরও বেশি করে রাজ্য সরকারের এগিয়ে আসা উচিত নয়? যাঁরা দেশের হয়ে পদক জয় করছেন, তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি কি এভাবেই প্রতিদিন ধুলোয় মিশবে? স্পেশাল অলিম্পিক্সে দুটো পদক জেতার পর সীতাকে কি একটাও সরকারি চাকরি দেওয়া যেত না? জবাবটা আপনাদের উপরেই ছেড়ে দিলাম।

Advertisement

Advertisement


ভিডিও স্টোরি