শেষ আপডেট: 22nd October 2024 12:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সম্প্রতি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভারতের স্বনামধন্য শিল্পপতি রতন টাটা। তাঁর মৃত্যুতে গোটা দেশ কার্যত শোকে মুষড়ে পড়েছে। সত্যি কথা বলতে কী, ভারতের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে টাটা পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। আপনারা কী জানেন, এই পরিবারের এক মহিলা অলিম্পিক্স টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করেছিলেন? না জানলে, বাকিটুকু আপনাকে পড়তেই হবে।
আমরা আজ আলোচনা করব টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার পুত্রবধূ লেডি মেহরবাই টাটাকে নিয়ে। তিনি নিজের সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। ১৯২৪ সালে তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সের টেনিস খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাও আবার পরিবারের সম্মান বজায় রাখতে শাড়ি পরেই টেনিস কোর্টে নেমেছিলেন তিনি। পারসি শৈলিতে শাড়ি পরিধান করে তিনি খেলতে নেমেছিলেন। এটাকে 'গারা' বলা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, এই টুর্নামেন্টের মিক্সড ডাবলস ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন লেডি মেহরবাই টাটা। তাঁর পার্টনারের নাম ছিল মহম্মদ সেলিম। যদি অলিম্পিক্স টুর্নামন্টে এই জুটি কোনও পদক জিততে পারেনি। তবে আন্তর্জাতিক টেনিসে একাধিক পদক জয় করেছেন লেডি মেহরবাই টাটা। প্রায় ৬০টি টুর্নামেন্টে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতে মহিলাদের খেলাধুলোর প্রসারে লেডি মেহরবাই টাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
এই লেডি মেহরবাই টাটাকে নিয়ে একাধিক গল্প প্রচলিত রয়েছে। অনেকে বলেন তাঁর কাছে নাকি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম হিরে ছিল। একবার টাটা গোষ্ঠী কঠিন আর্থিক সংকটে পড়েছিল। সেইসময় মেহরবাই টাটা এই হিরে বন্ধক রেখে টাটা গোষ্ঠীকে আর্থিক সংকট থেকে উদ্ধার করেছেন।
১৯০০ সালে লন্ডনে আয়োজিত একটি নিলাম অনুষ্ঠান থেকে লেডি মেহরবাই টাটার স্বামী স্যার দৌরাব ওই হিরে কিনে এনেছিলেন। সেইসময় হিরের ওজন ২৪৫.৩৫ ক্যারেট ছিল। আয়তনে কোহিনূর হিরের প্রায় দ্বিগুণ। মেহরবাই টাটার মৃত্যুর পর স্যার দৌরবজী টাটা ট্রাস্ট নির্মাণকার্যে হিরেটা বিক্রি করে দেওয়া হয়। যাইহোক, ১৯৩১ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সেই মারা গিয়েছিলেন লেডি মেহরবাই। তিনি লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।