শেষ আপডেট: 20th October 2024 14:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো : এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ঘুরল না ইস্টবেঙ্গল এফসি-র ভাগ্যের চাকা। এই টুর্নামেন্টে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে লজ্জায় মুখ ডুবতে বসেছে। শনিবার (২০ অক্টোবর) মোহনবাগানের কাছে ২-০ ব্যবধানে হারার পর লাল-হলুদ সমর্থকরা ম্য়ানেজমেন্টের উপর ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, দলের বাঙালি ফুটবলারের আধিপত্য কম থাকার কারণে এই ডার্বির আবেগ দেশের অন্য প্রান্তের ফুটবলাররা সেভাবে বুঝতেই পারছেন না।
এই বিতর্কের মধ্য়ে শনিবাসরীয় ডার্বিতে একটি টিফো যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নিয়ে এসেছিলেন সমর্থকরা। সেখানে লেখা ছিল, গ্যালারি আজ বলছে ভাই / ডার্বিতে বাঙালি ফুটবলার চাই। বিষয়টা ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল নির্বিশেষে দুই দলের সমর্থকরাই এই দুটো লাইনের সঙ্গে সহমত পোষন করেছেন।
আর সহমত পোষন করবেন না'ই বা কেন? দুটো দল মিলিয়ে ২২ জন ফুটবলারের মধ্যে তো মাত্র তিনজনই বাঙালি ফুটবলার ছিলেন। তাঁরা হলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু। দ্বিতীয়জন হলেন, লাল-হলুদ ব্রিগেডের শৌভিক চক্রবর্তী এবং প্রভাত লাকড়া। যদিও এই ম্যাচের রিজার্ভ বেঞ্চেও তিনজন বাঙালি ফুটবলার দেখা গিয়েছে। তাঁরা হলেন - ইস্টবেঙ্গলের বিকল্প গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মোহনবাগানের দীপেন্দু বিশ্বাস।
সত্যি কথা বলতে কী, কলকাতা ডার্বি বলতে আগে যে রক্ত গরম করা উত্তেজনা বোঝানো হত, এখন তা অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে গিয়েছে। কারণ ফুটবলাররা ডার্বির আবেগ কানেক্ট করতে পারছেন না বলেই সমর্থকরাও ক্রমশ মাঠবিমুখ হতে শুরু করেছেন। কখনও কোনও ডার্বি ম্য়াচে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের আসন ফাঁকা রয়েছে বলে কেউ শোনেনি। শনিবারের ডার্বিতে সেই ছবিটাও চোখে পড়ল। আসলে বাঙালি ফুটবল সমর্থকরা কলকাতা ডার্বিতে বাংলার ফুটবলাদেরই রাজত্ব দেখতে চান। তাঁরা পেশাদারিত্ব বোঝেন না। বোঝেন শুধুমাত্র ঘটি-বাঙালের আবেগ, ইলিশ চিংড়ির লড়াই। শনিবাসরীয় ডার্বির ফলাফল যাইহোক না কেন, বাংলার ফুটবল আবেগ যে হেরে গিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।