শেষ আপডেট: 14th September 2024 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমাদের দেশে এমন অনেক মহিলা অ্যাথলিট রয়েছে, যাঁদের প্রতিদিন দারিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। প্রাত্যহিক জীবনের অর্থনৈতিক প্রতিকূলতাকে হেলায় হারিয়ে দেশের জন্য বিভিন্ন টুর্নামেন্টে জয় করেন একাধিক পদ। অনুপ্রাণিত করেন গোটা দেশকে। ভারতের তেমনই একজন অ্যাথলিট হলেন ওপি জয়সা। পুরো নাম জয়সা ওরচাত্তেরি পুথিয়া ভিথিল। আসুন, তাঁর সাফল্যের কাহিনী একবার পড়ে নেওয়া যাক।
উত্তর কেরলের ওয়েনাড জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জয়সা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় বাবাকে হারান তিনি। স্বামীকে হারিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবে তাঁর মা'ও ক্রমশ অবসাদে ডুবে যেতে শুরু করেন। মা এবং তিন বোনের পরিবারে আশার আলো বলতে কিছুই ছিল না।
গোরু প্রতিপালন করেই তাঁদের সংসার চলত। কিন্তু, জয়সার বাবার ওই দুর্ঘটনার পর গোরুগুলোও একে একে মারা যায়। একটা সময় তো গোটা পরিবার কার্যত না খেয়েই দিন কাটাতে শুরু করে। অনেকদিন তো শুধুমাত্র কাদা খেয়েই কোনওক্রমে হৃদযন্ত্র সচল রেখেছিলেন।
প্রতিদিন মাইলের পর মাইল হাঁটতেন জয়সা। বাড়ি বাড়ি গোরুর দুধ বিক্রি করতেন। এত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সকলের অলক্ষ্যে নিজেকে রিও অলিম্পিক্সের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। প্রথমে এশিয়ান গেমসে তিনি ১৫০০ মিটার স্টিপলচেজে তিনি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছিলেন। এরপর মুম্বই ম্যারাথনে রেকর্ডজয়ী পারফরম্যান্সে তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন।
২০১৫ সালে বেজিংয়ে আয়োজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ১৮ নম্বরে শেষ করেন। সেইসঙ্গে রিও অলিম্পিক্সের টিকিটও কনফার্ম করেন তিনি। তবে কোনও পদক জিততে পারেননি। জয়সা অভিযোগ করেছিলেন, মহিলাদের ম্যারাথন ইভেন্টে তাঁকে নাকি পর্যাপ্ত জল এবং এনার্জি ড্রিঙ্কস দেওয়া হয়নি। যাইহোক, বিতর্কিত এই অধ্যায় ছাড়া নিজের কেরিয়ারে জয়সার জয়যাত্রা যে অনুপ্রাণিত করবে, তা বলা যেতেই পারে।