শেষ আপডেট: 14th September 2024 19:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমাদের দেশে এমন অনেক অ্যাথলিট রয়েছে, যাঁরা ছোটবেলা থেকে একাধিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ কিংবা রাজ্যের জন্য পদক জয় করেছেন। কিন্তু, তাঁরা নিজের প্রতিভা অনুসারে যোগ্য সম্মান পান না। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ভারতের মহিলা স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদের। আসুন, তাঁর সংগ্রামের গল্পটা জেনে নেওয়া যাক।
দ্যুতি চাঁদ। এই নামটার সঙ্গে আপনারা সকলেই কমবেশি পরিচিত। দেশের এই মহিলা স্প্রিন্টার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একাধিক পদক জয় করেছেন। ওডিশায় এক গরীব তাঁতীর ঘরে জন্ম দ্যুতির। ন'জনের পরিবারে দ্যুতির বাবার মোট ৬ কন্যাসন্তান ছিল। কিন্তু, তিনি মেয়েদের বরাবরই খেলাধুলোর দিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন।
১৮ বছর বয়সে আচমকাই দ্যুতির কেরিয়ারে নেমে আসে এক অজানা বিপর্যয়। এএফআই এবং আইএএএফ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে মহিলা অ্যাথলিটদের সঙ্গে দ্যুতি আর কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কারণ তাঁর শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি রয়েছে। সোজা ভাষায়, দ্যুতির শরীরে নাকি পুরুষত্বের পরিমাণ বেশি রয়েছে।
তবে এই অভিযোগ প্রথমে মানতে চাননি দ্যুতি। সুইজারল্যান্ডের কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টসে তিনি আবেদন করেন যে তাঁকে যেন মহিলা অ্যাথলিটদের সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়।
অবশেষে আসে সাফল্য। আবারও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয় আদালত। প্রথমেই তিনি ২০১৬ ফেডারেশন কাপে ১৬ বছরের পুরনো জাতীয় রেকর্ড (১১.৩৮ সেকেন্ড) ভেঙে দেন।
সবথেকে দুঃখের বিষয় হল, মাত্র ০.০১ সেকেন্ডের জন্য প্রথমে অলিম্পিক্স টুর্নামেন্টের যোগ্যতা তিনি অর্জন করতে পারেননি। এরপর কাজাখস্তানে ১১.৩০ সেকেন্ডে তিনি দৌড় শেষ করেন। পাশাপাশি রিও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী মার্ক (১১.৩২ সেকেন্ড) স্পর্শ করেন। ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে দ্যুতি নিজের একটা আলাদা জায়গা যে তৈরি করেছে, তা বলা যেতেই পারে।