শেষ আপডেট: 18th September 2024 13:56
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হরমনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় হকি দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। আয়োজক দেশ চিনকে ১-০ গোলে হারিয়ে তারা ইতিহাস কায়েম করেছে। ফাইনাল ম্যাচে দুটো দলের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যায়।
ফাইনাল ম্যাচে ভারতের হয়ে একমাত্র গোল করেন যুগরাজ সিং। ম্যাচের ৫১ মিনিটে তিনি টিম ইন্ডিয়াকে লিড দেন। সঙ্গে নিশ্চিত করেন ভারতীয় হকি দলের জয়ও। তবে যুগরাজ সিংয়ের কাছে এই সাফল্যের রাস্তাটা একেবারে সহজ ছিল না। ভারতীয় হকি দলে যোগ দেওয়ার আগে তাঁকে রাস্তায় রাস্তায় জলও বিক্রি করতে হয়েছে।
পঞ্জাবের আটারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন যুগরাজ সিং। ভারত এবং পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত। জন্মের পর থেকেই দারিদ্রতার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে যুগরাজকে। পরিবারের দৈন্য আর্থিক অবস্থার কারণে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে জলও বিক্রি করতে হয়েছে।
এমনকী, তাঁর বাবা একটা সময় মালপত্র বহনকারীর কাজও করতেন। পরিবারের এই আর্থিক অবস্থা বদলাতেই যুগরাজ ভারতীয় হকি দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন। তবে ভারতীয় হকি দলে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কোথাও কোনও কোচিং গ্রহণ করতে পারেননি। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে তাঁর গোলেই টিম ইন্ডিয়া জয়লাভ করেছে।
ছোটবেলা থেকেই হকিতে শামশের সিং এবং চতারা সিংকে নিজের আদর্শ হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন যুগরাজ। কারণ এই দুই হকি তারকা তাঁর গ্রাম থেকেই উঠে এসেছিলেন। ২০১১ সালে পিএনবি-র হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হন যুগরাজ। সেখানে তিনি প্রতি মাসে ৩,৫০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড পেতেন।
এরপর ২০১৬ সালে তিনি ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দেন। তাঁকে প্যাটি অফিসারের পোস্ট দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে তিনি প্রতিমাসে ৩৫,০০০ টাকা করে উপার্জন করতে শুরু করেন। এই চাকরিটা পাওয়ার পর যুগরাজের পরিবারে আর্থিক দৈন্যতা ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করে। প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতীয় হকি দলকে ব্রোঞ্জ পদক জেতাতে যুগরাজ সিং যথেষ্ট বড় ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে ভারতীয় হকি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি।