
মায়ের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় অলিম্পিকে পদকজয়ী লভলিনা, লক্ষ্য প্যারিসে সোনা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনিই এই মুহূর্তে ভারতের উত্তর-পূর্বের সেরা বিজ্ঞাপন, অন্তত খেলার জগতে। তিনি টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন বলেই তাঁর গ্রামের রাস্তা পাকা হয়েছে। লভলিনা বড়গোহাঁই অসমের গর্বিত কন্যা। যিনি বক্সিংয়ে নতুন করে ভারতকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
এর আগেও একবার কলকাতায় এসেছিলেন মায়ের চিকিৎসার জন্য। সেইসময় কেউ তাঁর খোঁজ নেয়নি, কিন্তু মঙ্গলবার আর এন টেগোর হাসপাতালে লভলিনা আসার পরেই খবর হয়ে যায় সর্বত্রই। মিডিয়ার প্রতিনিধিরা সেখানে হাজির হয়ে যান। এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরাও লভলিনাকে দেখে ছবি তোলার অনুরোধ করতে থাকেন। কেউ কেউ তাঁর অটোগ্রাফও নিয়েছেন।
কলকাতায় এসে লভলিনা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার মায়ের শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছেন মা ভাল হয়ে যাবেন।’’ অলিম্পিকের আগে থেকেই অসুস্থ তাঁর মা। আগেও কলকাতায় এসেছেন ভারতের বক্সার।
মঙ্গলবার কলকাতায় এসে আর এন টেগোর হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছেন লভলিনা, পাশে তাঁর মা।
ভারতের বক্সিং কন্যা আরও জানিয়েছেন, অলিম্পিকের প্রস্তুতির কারণে মা-কে নিয়ে আসা হয়নি, তাই এবার আর দেরি করিনি। মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপন হবে, তাই কলকাতায় আসা। এখানে সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা হয়ে থাকে। আগেও এই হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছিল বলে অন্যত্র নিয়ে যাইনি।
অলিম্পিকে প্রথম বার খেলতে নেমেই পদক জিতে নিয়েছেন অসমের লভলিনা। মহিলাদের ওয়াল্টার ওয়েট বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। সেমিফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর তারকা তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনলির বিরুদ্ধে হারলেও ব্রোঞ্জ জেতেন লভলিনা। ভারতের তৃতীয় বক্সার হিসেবে তিনি পদক জিতেছেন।
যদিও কলকাতায় এসে লভলিনা বলেছেন, আমার লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিকে সোনা। সেই লক্ষ্যেই কঠোর প্রস্তুতি সারতে হবে। তিনি যে টোকিওর ফলে খুশি হতে পারেননি, বারবার জানিয়েছেন। লভলিনা বলেন, যেভাবে এগোচ্ছিলেন, তাতে সোনা এলে ভাল হতো, তবে অলিম্পিকের যে কোনও পদকই সমান গুরুত্বপূর্ণ। যদিও পরেরবার লক্ষ্য থাকবে সোনা আনার।