শেষ আপডেট: 23rd January 2025 18:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো : আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের বিচারে সফল অ্যাথলিট হওয়া সম্ভব নয়। এই সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি ওই অ্যাথলিটের উপযুক্ত ডায়েট। এই প্রসঙ্গে মাইকেল ফেল্পসের কথাই ধরা যেতে পারে। অলিম্পিক্স ইতিহাসে তিনি সবথেকে বেশি পদক জয় করেছেন। মোট ২৮ পদকের মধ্যে ২৩টি সোনার পদক। অনেক দেশই এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যক পদক জয় করতে পারেনি।
পাশাপাশি অলিম্পিক্সের একক ইভেন্টে সবথেকে বেশি সোনার পদক জয়ের রেকর্ডও তাঁর দখলেই রয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সাঁতারু এখনও পর্যন্ত পাঁচবার অলিম্পিক্সের আসরে অংশগ্রহণ করেছেন। শুধুমাত্র অনুশীলন নয়, উপযুক্ত ডায়েটের উপরেও তিনি যথেষ্ট নজর দিয়ে থাকেন। কীভাবে পেট-পুজো করেন তিনি, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রসঙ্গত, ফেল্পস প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার ক্যালোরি গ্রহণ করেন। একজন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন সাধারণ দুই থেকে আড়াই হাজার ক্যালোরি গ্রহণ করেন। ফলে তিনি যে একাই পাঁচজনের খাবার গ্রহণ করেন, তা বলা যেতেই পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, ফেল্পসের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা।
প্রাতরাশে তিনি ডিম ভাজা দিয়ে স্যান্ডউইচ, চিজ, টমেট্য়ো, লেটুস, ভাজা পেঁয়াজ এবং মেয়োনিজ খেয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি থাকে তিনটে চকোলেট চিপস দেওয়া প্যান কেক। কিন্তু, ব্রেকফাস্ট তালিকা এখানেও শেষ হয়নি।
স্যান্ডউইচ এবং প্যানকেক ছাড়াও তিনি পাঁচটা ডিমের অমলেট, তিনটে চিনি মাখানো, এক বাটি খোসা ছাড়ানো জই এবং ২ কাপ কফি।
এবার মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে আসা যাক। লাঞ্চ প্লেটে আধ কিলো পাস্তা, দুটো বড় সাইজের হ্যাম, মেয়োনিজ মাখানো সাদা পাঁউরুটি দিয়ে তৈরি করা চিজ স্যান্ডউইচ এবং এনার্জি ড্রিঙ্ক। এই পরিমাণ খাবার যে কোনও বাঙালি হজম করতে পারবে, সেটা ভাবাই বাতুলতা।
সবশেষে নৈশভোজ। ডিনারেও থাকে পাস্তা। সঙ্গে ক্যানবেরা শস। থাকে একটা বড় সাইজের পিৎজা। আর সঙ্গে এনার্জি ড্রিঙ্ক। তবে এই খাবার হজম করাটাও একটা বড় ঝক্কির ব্যাপার। এইজন্য বছরের প্রতিদিন তাঁকে ৬ ঘণ্টা করে অনুশীলন করতেই হয়। এমন ডায়েট আপনিও চালু করতে চান?