নোভাক জকোভিচ
শেষ আপডেট: 4th August 2024 21:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে স্বপ্নপূরণ! ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নোভাক জকোভিচের ঝুলিতে শেষমেশ এল অলিম্পিক্সের সোনা। কেবল এই পদকটিরই অভাব ছিল তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে। আজ, রবিবার রোলাঁ গারোর ফাইনালে অর্জন করে নিলেন সেটিও। আলকারাজকে ৭-৬, ৭-৬ ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জিতে নিলেন তিনি।
২০০৮ অলিম্পিক্সে সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন জকোভিচ। এবার সামনে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী কার্লোস আলকারাজ। কঠিন চ্যালেঞ্জ, নিঃসন্দেহে। কিন্তু অভিজ্ঞতা দিয়েই শেষমেশ সোনা ফলালেন জকোভিচ। আলকারাজকে হারিয়ে অধিকার করলেন চ্যাম্পিয়নের স্থান। মন ভরে ওড়ালেন সার্বিয়ার পতাকা।
এদিন আলকারাজের শুরুটা ভাল হয়নি প্রথম সেটে। খেলা এগোতে থাকে সমানে সমানে, নবম গেমটিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াই চলে। জকোভিচকে পাঁচ-পাঁচটি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচাতে হয়। তবে সার্ভ ধরে রেখে তিনি ৫-৪ করেন। তবে এগিয়ে গেলেও, আলকারাজের দাপটে সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও হাড্ডাহাড্ডি। একটা সময় ৩-৩ হয় রেজাল্ট। কিন্তু টানা চার পয়েন্ট জিতে টাইব্রেকার জিতে যান জকোভিচ। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করেন তিনি। ৬-২ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়েই নিশ্চিত করে ফেলেন সোনা।
মাস দুয়েক আগেই জকোভিচের ডান পায়ে অপারেশন হয়েছিল। অলিম্পিক্সে খেলবেন কিনা, কতটা ভাল খেলতে পারবেন, সেই নিয়েই সংশয় ঘনিয়েছিল। তবে সে সব অতীত পার করে আজ তিনি জয়ী। আর এই জয় যেন পূর্ণ করল তাঁর দুর্ধর্ষ কেরিয়ারকে। এতদিন এত জেতার পরেও কোথায় যেন ছোট্ট ফাঁক থেকে গেছিল, অলিম্পিকিসের সোনা ছাড়া।
জেতার পরে জকোভিচ বলেন, 'আমাদের দুই সেটের লড়াই চলল তিন ঘণ্টার কাছাকাছি। এটা অবিশ্বাস্য দ্বৈরথ, অসাধারণ লড়াই। যখন শেষ শটে আলকারাজ হারলেন তখনই প্রথম আমার মনে হল, আমি ম্যাচটি জিততে পারি। তার আগে পর্যন্ত টানটান খেলা চলছিল। ...জানি না আমি কী বলব। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার হৃদয়, পরিশ্রম, পরিবার-- আমার সব কিছু উজাড় করে দিয়েছিলাম এই সোনা জেতার জন্য। ৩৭ বছর বয়সে এসে সেটা জেতা হল। ভাল লাগছে।'