
বিধ্বংসী হেটমায়ের, হোপের সাবলীল ব্যাটিংয়ে বিরাটদের হারিয়ে চেন্নাই জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
এদিন টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক পোলার্ড। ভারত ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল ব্যাটে বল ধীরে আসছে। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছিলেন না ভারতের দুই ওপেনার রোহিত ও রাহুল। কট্রেলের স্লো বলে মাত্র ৬ রানে আউট হন রাহুল। ৪ রান করে কট্রেলের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন বিরাট। তারপর শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন রোহিত। খুব ধীরে খেলছিলেন রোহিত। ৩৬ রানের মাথায় আলজারি জোসেফকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত।
তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল ভারতের পক্ষে সমস্যা হবে বড় রান করতে। কিন্তু পার্টনারশিপ গড়লেন আইয়ার ও পন্থ। এদিন বুদ্ধি করে ব্যাট করলেন ঋষভ। বড় শট না খেলে সিঙ্গল-ডবলসে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন তাঁরা। দু’জনে মিলে ভারতের স্কোর ২০০-র গণ্ডি পার করান। কিন্তু তারপরেই ৭০ রানের মাথায় আইয়ার ও ৭১ রানের মাথায় পন্থ আউট হন।
তারপর পার্টনারশিপ গড়েন কেদার যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা। একসময় মনে হয়েছিল ভারতের রান ৩০০ পার হয়ে যাবে। কিন্তু বাজে সময়ে ৪০ রানে আউট হন কেদার। ২১ করে বিতর্কিত রানআউট হন জাদেজা। ফলে শেষ অবধি ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ তোলে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সুনীল অ্যামব্রিসের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু তারপরেই পার্টনারশিপ গড়লেন হেটমায়ের ও হোপ। প্রথমে কিছুটা সময় নিয়ে তারপর হাত খোলা শুরু করলেন তাঁরা। বিশেষ করে হেটমায়ের তো কাউকে রেয়াত করেননি। নিজের জোনে বল পেলেই বড় শট খেলেছেন। অন্যদিকে কিছুটা ধীরে হলেও সাবলীল ব্যাট করছিলেন হোপ।
দুজনে মিলে ২১৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দুই ব্যাটসম্যানই নিজেদের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। হেটমায়ের ১০৬ বলে ১৩৯ করে শামির বলে আউট হন। হোপ শেষ পর্যন্ত ১৫১ বলে ১০২ করে অপরাজিত থাকেন। ৪৭.৫ ওভারে ৮ উইকেটে জয়ের রান তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এখন দেখার দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত সিরিজে ফিরতে পারে কিনা।