
বয়সকে তুড়ি মেরে ৩৫’এও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট মেরি’
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বয়স যে কেবলই একটা সংখ্যা তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। তিন সন্তানের মা হওয়ার পরেও যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়, তা আগেই দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তাগিদ দেখানো যায়, তা আরও একবার দেখালেন মেরি কম।
আরও পড়ুন Breaking : কলকাতার নতুন মেয়র ববি হাকিমই, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, জানিয়ে দিলেন মমতা
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মেয়েদের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছেন মেরি কম। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার কিম হিয়াং মিংকে ৪৮ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে বিচারকদের সিদ্ধান্তে হারান মেরি কম। ফাইনালে ওঠার ফলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে অন্ততপক্ষে রূপো নিশ্চিত করে ফেলেছেন মেরি কম। শনিবার ইউক্রেনের হান্না ওখোটার সঙ্গে ফাইনালে লড়াই হবে মেরি কমের।
Women's Boxing World Championships: #MaryKom beats North Korea's Kim Hyang Mi in the semi-final to enter the final. pic.twitter.com/nlQ6GNztbO
— Doordarshan Sports (@ddsportschannel) November 22, 2018
মেয়েদের বক্সিংয়ে সবথেকে সফল মহিলা বক্সার হলেন মেরি কম। এর আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ টি পদক রয়েছে তাঁর। তারমধ্যে ৫ টি সোনা ও ১ টি ব্রোঞ্জ রয়েছে। তিনি ছাড়া এই কৃতিত্ব রয়েছে কেবলমাত্র আইরিশ বক্সার কেটি টেলরের। কিন্তু টেলর এখন দেশের হয়ে খেলা ছেড়ে প্রফেশনাল বক্সার হিসেবে খেলেন। অর্থাৎ শনিবার পদক জিতলেই তিনি হয়ে যাবেন মেয়েদের বক্সিং ইতিহাসে সবথেকে সফল মহিলা বক্সার। শেষবার ২০১০ সালে ৪৮ কেজি বিভাগেই সোনা জিতেছিলেন মেরি কম। তারপর এ দিন ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেন মণিপুরের এই মেয়ে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মেরি কম ছাড়াও আরও তিন মহিলা সেমিফাইনালে উঠেছেন। ৬৯ কেজি বিভাগে লোভলিনা বরগোহেই, ৫৭ কেজি বিভাগে সোনিয়া চাহাল ও ৬৪ কেজি বিভাগে সিমরনজিৎ কৌর। এর ফলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে আরও মেডেলের আশা করতেই পারেন ভারতীয় বক্সাররা। গত বছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলেন মেরি কম ও কিম হিয়াং মিং। সেখানেও কিমকে হারিয়েই পদক জিতেছিলেন মেরি।
তিন সন্তানের মা হওয়ার পর বক্সিং রিং থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন মেরি কম। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো আর বক্সিং রিংয়ে নাও দেখা যেতে পারে এই মণিপুরী বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বক্সিং রিংয়ে ফিরে এসে পদক জিতেছিলেন মেরি। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, চোখে স্বপ্ন ও কঠোর পরিশ্রম করলে সব অসাধ্য সাধন করা যায়। এই বয়সে এসে বারবার সেই কথাটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন ‘ম্যাগনিফিসেন্ট মেরি।’