
কোপা, ইউরোয় কোভিডের বাড়বাড়ন্ত, উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিঠি দিল দুই আয়োজককে
সব থেকে আতঙ্কিত ইউরো কাপে গ্যালারিতে ভরা দর্শকদের দেখে। তারা রীতিমতো ফোন করে সংগঠকদের জানিয়েছে, এই ব্যাপারে সতর্ক না হলে তারা বড় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
ইউরোতে দেখা যাচ্ছে, সব ম্যাচেই গ্যালারিতে ভরা দর্শক। দেখে একবারও মনেই হচ্ছে না বিশ্বে করোনাভাইরাস বলে কোনও রোগ আদৌ আছে কিনা।
ইউরোতে দর্শক সংখ্যা দেখে মাথায় হাত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র। যেভাবে দর্শকরা গোলের পরে উৎসবে মাতছেন বা যেভাবে দর্শকরা পাশাপাশি বসে খেলা দেখছেন, তাতে আশঙ্কিত হু। ইউরোপে নিয়ন্ত্রিত করোনা ফের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে হু। এমনকি মুখে কারোর মাস্কও নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্তারা চিঠিও দিয়েছেন ইউরো সংগঠকদের। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না এক্ষেত্রে। দর্শকরা কেন এত খোলামেলা আচরণ করছেন? তার থেকেও বড় বিষয়, প্রতিদিনই মাঠে দর্শকসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে টিকিট থেকে বেশি লাভের আশায়।
ডেনমার্কের রাজধানী শহর কোপেনহেগেনে নতুন করে ২৯জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার পার্কেন স্টেডিয়ামে করোনা বিধি মেনে দর্শক সংখ্যা হওয়ার কথা ১৬ হাজার। কিন্তু বেলজিয়াম বনাম ডেনমার্ক ম্যাচে সেই সংখ্যা হয়েছে ২৫ হাজার।
শুধু তাই নয়, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাস অ্যারেনায় যেখানে ইউরো কাপের ম্যাচ হচ্ছে, সেখানেও দর্শক কানায় কানায় পূর্ণ। ৬৮ হাজার দর্শক ধরে এই স্টেডিয়ামে।
এমনকি ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো কাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ রয়েছে, সেখানে করোনা বিধি মানলে দর্শক সংখ্যা হওয়ার কথা ৪০ হাজার। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা সেমিফাইনাল ও ফাইনালে বিক্রি করবে ৬০ হাজার টিকিট।
এদিকে, ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে করোনা রোগী বেড়েই চলেছে। মোট ১৪০ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছে মঙ্গলবার রাতের রিপোর্টের ভিত্তিতে। সেই নিয়ে হু কর্তারা সতর্ক ও চিঠিও দিয়েছে আয়োজকদের।
লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৫ হাজার ২৩৫ জনের করোনা পরীক্ষার পর এই সংখ্যক রোগী ধরা পড়েছে। যা কিনা মোট পরীক্ষার ০.৯ ভাগ।
এই হিসেবে নিজেদের মতো ইচ্ছে মতো দেখিয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা কোপায় দুইজন পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে, তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নেবে।