
করোনায় আক্রান্ত অলিম্পিকে সোনাজয়ী সাঁতারু, ১৪ দিন পরেও রয়েছে দুর্বলতা
দক্ষিণ আফ্রিকার সাঁতারু ক্যামেরন ২০১২ সালের অলিম্পিকে ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সোনা জিতেছিলেন। বহুদিন পর্যন্ত এই ইভেন্টে রেকর্ড তাঁর নামেই ছিল। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে রুপো জেতেন তিনি। তারপরে ২০১৮ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে অবসর নেন ক্যামেরন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাস যে শুধুমাত্র বয়স্ক লোকেদেরই কাবু করছে তা নয়, এই ভাইরাসের কবলে পড়ে দুর্বল হচ্ছেন অলিম্পিক জয়ী অ্যাথলিটরাও। খানিকটা এমনই অভিজ্ঞতার সাক্ষী সোনাজয়ী সাঁতারু ক্যামেরন ভ্যান ডার বার্গের। ১৪ দিন ধরে কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও এখনও নাকি তাঁর শরীর যথেষ্ট দুর্বল। এই ভাইরাসকে তাঁর দেখা সবথেকে খারাপ ভাইরাস বলেই দাবি সাঁতারুর।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাঁতারু ক্যামেরন ২০১২ সালের অলিম্পিকে ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সোনা জিতেছিলেন। বহুদিন পর্যন্ত এই ইভেন্টে রেকর্ড তাঁর নামেই ছিল। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে রুপো জেতেন তিনি। তারপরে ২০১৮ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে অবসর নেন ক্যামেরন। এই মুহুর্তে তাঁর বয়স ৩১। কিন্তু এই বয়সেই করোনার থাবায় কাবু তিনি।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ক্যামেরন নিজেই। তাঁর কথায়, “১৪ দিন ধরে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত আমি। আমার বয়স কম, খুব ভাল জীবন-যাপন করি, অ্যাথলিট হওয়ার ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রও অনেক মজবুত, তারপরেও এই ভাইরাস আমার দেখা সবথেকে খারাপ ভাইরাস।”
করোনাভাইরাসে কাবু হলে যে অ্যাথলিটদেরও শরীর দুর্বল হতে পারে সেকথাও জানিয়েছেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ উপসর্গই এখন অনেকটা কমে গেছে। কিন্তু এখনও মাথা ও গায়ে ব্যথা ও কাশি রয়েছে। কিছুক্ষণ হাঁটলে সেই ক্লান্তি সারতে অনেকক্ষণ সময় লাগছে।”
এই পরিস্থিতিতে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক নিয়ে চিন্তিত এই সোনাজয়ী সাঁতারু। তাঁর চিন্তা অ্যাথলিটদের স্বাস্থ্য নিয়েও। ক্যামেরনের কথায়, “এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরের উপর গুরুতর প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে কোনও অ্যাথলিট যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে এতদিন পরিশ্রম করে যে শারীরিক ক্ষমতা তিনি গড়ে তুলেছেন, তা নষ্ট হতে বেশিদিন সময় লাগে না। আর কোনও টুর্নামেন্টের আগে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার ক্ষতি সবথেকে বেশি হয়।”
ক্যামেরনের মতে, অলিম্পিক কমিটির জানিয়ে দেওয়া উচিত, নির্দিষ্ট সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে কি হবে না। কারণ, তা হলে সেই মতো অ্যাথলিটরা নিজেদের তৈরি করে নিতে পারবে। অযথা বেশি পরিশ্রম করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হবে না তাঁদের। ক্যামেরন বলেন, “টোকিও অলিম্পিক কবে হবে সে ব্যাপারে কোনও ঘোষণা হয়নি। আর তাই পরিশ্রম করে যেতেই হচ্ছে অ্যাথলিটদের। এই বেশি পরিশ্রম করতে গিয়ে ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে ফেলছেন তাঁরা। ফলে তার থেকে ফিরে আসার সময় খুব কষ্ট হচ্ছে। আর এই সময়ে তো করোনার কাঁটা খুবই সাংঘাতিক। তাই সব অ্যাথলিটদের আমি বলব, স্বাস্থ্য সবার আগে। কোভিড ১৯ কিন্তু মজার জিনিস নয়।”