
রিংয়ে ফিরছেন মাইক টাইসন, ৫৪ বছর বয়সে কামব্যাক কিংবদন্তি বক্সারের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৮০-র দশকে বক্সিংয়ে তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা। তাঁর হুঙ্কারে ঘুম উড়ত প্রতিপক্ষদের। একের পর এক নকআউটে প্রতিপক্ষকে শুইয়ে দিয়েছেন মাইক টাইসন। বিতর্কেও কম জড়াননি। সেই মাইক টাইসনকে ফের একবার দেখা যাবে রিংয়ে। ৫৪ বছর বয়সে কামব্যাক করছেন কিংবদন্তি বক্সার।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ডিগনিটি হেলথ স্পোর্টস পার্কে ফের রিংয়ে নামবেন টাইসন। আট রাউন্ডের একটি প্রদর্শনী ম্যাচে ফোর-ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন রয় জোনস জুনিয়রের মুখোমুখি হবেন তারকা বক্সার। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও নিজের টুইটারে শেয়ার করেছেন টাইসন। সেখানে দুই বক্সারকেই দেখা যাচ্ছে। প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে টাইসনকে। তিনি জানাচ্ছেন, রয় জোনস জুনিয়রকে তিনি মোটেই হালকা ভাবে নেবেন না। অন্যদিকে জুনিয়র বলছেন, এই লড়াইটা ডেভিড বনাম গোলিয়াথের। কিন্তু সবাই এক টানটান লড়াই দেখতে পাবেন বলেই তাঁর আশা।
I. AM. BACK. #legendsonlyleague. September 12th vs @RealRoyJonesJr on #Triller and PPV #frontlinebattle @TysonLeague pic.twitter.com/eksSfdjDzK
— Mike Tyson (@MikeTyson) July 23, 2020
রিংয়ে নামার পরে ১৯৮৬ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম হেভিওয়েট বক্সার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন টাইসন। তাঁর কেরিয়ারের শুরুতেই সবাইকে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন এই বক্সার। প্রথম ১৯টি লড়াই জিতেছিলেন নকআউটে। কেরিয়ারের মোট ৬৬টি ম্যাচ জিতেছেন তিনি। তার মধ্যে ৪৭টিই নকআউটে। টাইসনই বিশ্বের একমাত্র বক্সার যিনি ডাবলুবিএ, ডাব্লুবিসি ও আইবিএফ তিনটি খেতাবই জিতেছেন।
অবশ্য নব্বইয়ের দশক থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে থাকেন মাইক টাইসন। প্রতিপক্ষ বক্সারের কান কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়ায় সাসপেন্ড পর্যন্ত হতে হয়। অবশেষে ২০০৫ সালে অবসর নেন তিনি। তার ফের ১৫ বছর পরে রিংয়ে নামবেন টাইসন।
প্রতিপক্ষ ৫১ বছরের জুনিয়রও অবশ্য কম যান না। কেরিয়ারের ৫০টি জয়ের মধ্যে ৪৪টিই এসেছে নকআউটে। টাইসনের থেকে শারীরিক ভাবে অনেক ছোটখাটো হলেও তাঁর প্রধান শক্তি হল ক্ষিপ্রতা। তাই শক্তি ও ক্ষিপ্রতার এক টানটান লড়াই দেখা যাবে ১২ সেপ্টেম্বর।
এই খবর পাওয়ার পর থেকে টাইসন ভক্তরা দিন গোণা শুরু করে দিয়েছেন। ৫৪ বছর বয়সে তিনি কী করতে পারেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় সবাই। আজকের প্রজন্মের অনেকেই টাইসনের খেলা নিজের চোখে দেখেননি। তাঁদের ইচ্ছাও পূর্ণ হবে। ১২ সেপ্টেম্বর পে পার ভিউ অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাবে এই লড়াই। সেদিকেই এখন তাকিয়ে গোটা বক্সিং দুনিয়া।