শেষ আপডেট: 4th December 2019 11:40
শুটিংয়ে জোড়া সোনা বৈদ্যবাটির মেহুলি, রেকর্ড গড়লেন নেপালে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কমনওয়েলথ গেমসে একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল সোনা। কিন্তু সাউথ এশিয়ান গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন হুগলির বৈদ্যবাটির চতুষ্পাটি লেনের মেহুলি ঘোষ। নেপালে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভাগে সোনা জয় করলেন বাংলার এই শুটার।
বুধবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ২৫৩.৩ পয়েন্ট স্কোর করেন মেহুলি। এই স্কোর আন্তর্জাতিক শুটিংয়ে বিশ্বরেকর্ডের ( ২৫২.৯ ) থেকেও বেশি। কিন্তু যেহেতু সাউথ এশিয়ান গেমসের স্কোর আন্তর্জাতিক শুটিং সংস্থার হিসেবে রেকর্ড বইয়ে জায়গা পায় না, তাই রেকর্ড গড়েও তা লেখা থাকবে না। তবে গেমস রেকর্ডে সবার উপরে থাকবে মেহুলির নাম।
সোনা জিতে উঠে প্রশিক্ষক জয়দীপ কর্মকারকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সোনার মেয়ে জানান, “স্কোরের হিসেবে আমার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এখনও সেরাটা আসেনি। তার জন্য আরও পরিশ্রম করতে হবে।” তবে কমনওয়েলথ গেমসের তুলনায় বর্তমানে যে তাঁর মানসিক দৃঢ়তা অনেক বেড়েছে তা স্বীকার করেছেন মেহুলি। তাঁর কথায়, “আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্যের জন্য দক্ষতা ও মানসিক দৃঢ়তা দুটোরই সমান প্রয়োজন। আমি সে ভাবেই নিজেকে তৈরি করছি। আমার মানসিক দৃঢ়তা আগের থেকে অনেক বেড়েছে।”
চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বকাপ শুটিংয়ে ভাল ফল হয়নি মেহুলির। কিছুটা ভেঙেও পড়েছিলেন। তখন কাজে আসে কোচের পেপ টক। জয়দীপবাবুর কথায়, “আমি মেহুলিকে বলেছিলাম ও যদি ২০২৪ অলিম্পিক্সের জন্য নিজেকে তৈরি করতে চাই তাহলেও আমি তৈরি। কিন্তু ও যদি যায় নিজের লড়াই চালিয়ে যেতে তাহলে ওকে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। মেহুলি আমাকে একদিন বলে ও টোকিও অলিম্পিক্সের জন্যই প্রস্তুত হবে। এই প্রতিযোগিতা তারই প্রথম ধাপ।” পরের বছর টোকিও অলিম্পিক্স। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন বাংলার এই সোনার মেয়ে।
অবশ্য সেই রাস্তাতেও কঠিন লড়াই মেহুলির সামনে। অপূর্বি চাণ্ডেলা মোটামুটি নিশ্চিত টোকিওর বিমানে ওঠার জন্য। বাকি একটা জায়গার জন্য লড়াই মেহুলি ঘোষ, অঞ্জুম মুদগিল ও এলাভিনিল ভালারিভানের মধ্যে। যদিও সাউথ এশিয়ান গেমসে মেহুলির এই জোড়া সোনা তাঁকে সেই লড়াইয়ে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ দিল বলেই মনে করছেন কোচ জয়দীপ কর্মকার।
অবশ্য সেসব চিন্তা নেই মেহুলির। তাঁর কাজ কঠিন পরিশ্রম করে যাওয়া। আর তাই তো সাউথ এশিয়ান গেমসে জোড়া সোনা জেতার পরেও তাঁর কাজ অনেকটা বাকি আছে বলেই মনে করছেন এই তরুণী। আজ সন্ধ্যাতেই ফের শুটিং রেঞ্জে প্র্যাকটিস করবেন তিনি। কারণ পাখির চোখ তো অলিম্পিক্স। সেই লক্ষ্যে এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি।