শেষ আপডেট: 26th August 2020 08:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর নাকি আটকানো যাচ্ছে না তাঁকে। ২০ বছর থাকার পরে বার্সেলোনা ছাড়ার ব্যাপারে এক প্রকার মনস্থির নাকি করেই নিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর তাঁর বার্সা ছাড়ার খবর সামনে আসতেই ক্যাম্প নৌয়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের পদত্যাগ দাবি করছেন কাতালানরা। আর তার মাঝেই খবর, নিজের পুরনো কোচ তথা বর্তমানে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে নাকি কথাও হয়েছে মেসির। বিশ্বের অন্যতম নামী স্পোর্টস জার্নাল ইউসি স্পোর্টস জানাচ্ছে, মেসির বার্সা ছাড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁরা আরও জানাচ্ছে, বার্সেলোনার শীর্ষ কর্তারা এ ব্যাপারে তাদের জানিয়েছে, মেসির ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। হতে পারে ৩১ অগস্টই সরকারি ঘোষণা করে দেবেন লিও নিজে। এই খবর সামনে আসতেই গতকাল রাত থেকেই ক্যাম্প নৌতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কয়েক হাজার সমর্থক। তাঁদের দাবি, ক্লাবের এই খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউ। তাঁর ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে ক্লাবকে। ভাল ফুটবলার ছেড়ে দেওয়া ও খারাপ রিক্রুটমেন্টের জন্য ক্লাব প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেসিও। সমর্থকদের দাবি, বার্সায় থেকে যান মেসি। ক্লাব ছাড়ুন বার্তোমেউ। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যেই ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, প্যারিস সেন্ট জার্মেইন ও ইন্টার মিলান ঝাঁপিয়েছেন মেসিকে নেওয়ার জন্য। যদিও মেসির নাকি ইচ্ছে সিটিতে যাওয়ার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ক্লাবের কোচ তাঁর পছন্দের পেপ গুয়ার্দিওলা। মেসি নাকি চান, গুয়ার্দিওলার কাছেই ফিরে যেতে। ইএসপিএন সূত্রে খবর, গুয়ার্দিওলার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ নাকি কথাও হয়েছে মেসির। তাঁকে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন লিও। ফুটবল দুনিয়ায় মেসি ও পেপের সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। অন্য দলে খেললেও সব সময় লিওর প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন পেপ। ২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে মেসির। কিন্তু তাঁর চুক্তিতে এমন একটা ক্লজ রয়েছে যার মাধ্যমে প্রতি মরসুমের শেষে চাইলে ক্লাব ছাড়তে পারবেন মেসি। তার জন্য তাঁকে কোনও জরিমানাও দিতে হবে না। কিন্তু তার জন্য ১০ জুনের মধ্যে মেসিকে ক্লাব ছাড়ার কথা সরকারিভাবে জানাতে হবে। অবশ্য এই মরসুমে কোভিড ১৯-এর জন্য খেলার মরসুম শেষ হতে দেরি হয়েছে। তাই এই মরসুমে ১০ জুনের হিসেব কাজে আসবে না। অর্থাৎ এই মরসুমে মেসি ক্লাব ছাড়লেও তাঁকে কোনও জরিমানা দিতে হবে না। অবশ্য মেসিকে নেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট ভাবতে হবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে। কারণ সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচেছে তারা। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির পক্ষে ভাল খবর হতে পারে মেসির রিলিজ ক্লজ। নইলে তাঁকে নেওয়ার জন্য ৫১৬০ কোটি টাকা দেওয়ার ক্ষমতা যে কোনও ক্লাবের পক্ষেই সমস্যা। অবশ্য এই সময় যদি মেসিকে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা নাও দিতে হয়, তারপরেও মেসির বেতন বাবদ প্রতি সপ্তাহে সাড়ে ৪ কোটি টাকা দিতে হবে ইংল্যান্ডের এই ক্লাবকে। তাতে চাপ পড়তে পারে সিটির কোষাগারে। ফলে গুয়ার্দিওলা চাইলেও ক্লাব কর্তারা কতটা রাজি হবেন সেই নিয়ে কিছুটা হলেও সন্দেহ রয়েছে।