
অজি বধ সারা, সেমি’তে ইংল্যান্ড নয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ, প্রস্তুত হরমনপ্রীতরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আহ্বান জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপ আনতেই হবে দেশে। সেই লক্ষ্যেই আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন হরমনপ্রীত কৌররা। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় হয়েছিল আগেই। এ বার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গেলেন সেমিতে।
আরও পড়ুন বয়ফ্রেন্ডকে ফিরে পেতেই ধর্ষণের কাঁদুনি গায় মেয়েরা : মনোহরলাল খট্টর
তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় হারালো ভারত। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করে আট উইকেটে ১৬৭ রান তোলে ভারত৷ ব্যাট হাতে দুরন্ত ইনিংস খেলেন স্মৃতি মান্ধানা এবং হরমনপ্রীত কৌর৷ মাত্র ১৭ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা মাঠে রেখে আসেন মান্ধানা৷ ৮৩ রানে ডাগ-আউটে ফেরেন তিনি৷ ডাগ-আউটে ফেরার আগে টি-২০ ক্রিকেটে এক হাজার রানের মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন স্মৃতি৷ মিতালি রাজের পর দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা হিসেবে এই মাইলস্টোন টপকে যান মহারাষ্ট্রের এই মহিলা ব্যাটার৷ ৫৫ বলের ইনিংসে ৩টি ছয় ও ৯টি বাউন্ডারি মারেন স্মৃতি৷ তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত৷ ২৭ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন৷ তিনটি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি মারেন হরমনপ্রীত৷
১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় স্পিনারদের সামনে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া৷ শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া৷ চোটের জন্য ব্যাট করতে নামেননি আলিশা হিলি৷ ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে একা লড়াই করেন পেরি৷ এ দিন দেশের হয়ে শততম ম্যাচ খেলা পেরি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন৷ ২৮ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কা মেরে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি৷ তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন গার্ডনার৷ তিনি ২০ রান করেন৷ বাকিরা ভারতীয় বোলাররা বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুললে পারেননি৷ বল হাতে ভারতের সফলতম বোলার অনুজা পাতিল৷ ৩.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৫ রান খরচ করে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি৷ এছাড়া দীপ্তি শর্মা, পুনম যাদব এবং রাধা যাদব দু’টি উইকেট নিয়েছেন৷
গ্রুপের চার ম্যাচেই জয়। প্রথমে নিউজিল্যান্ড, তারপর একে একে পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। সবাইকেই কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে পা দিয়েছেন মিতালিরা। এ বার সামনে ইংল্যান্ড অথবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে গত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের মাটি থেকেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছিল স্টেফানি টেলরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিন্তু তৈরি ‘উওম্যান ইন ব্লু’। বিপক্ষে যে দলই থাকুক না কেন, নিজেদের সেরাটা দিতে তৈরি প্রত্যেকটা মেয়ে। এ বারের বিশ্বকাপে প্রত্যেক ম্যাচে কেউ না কেউ কাঁধে তুলে নিয়েছেন দায়িত্ব। প্রথম ম্যাচে হরমনপ্রীত ও জেমাইমা রদ্রিগেজ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে মিতালি রাজ, এ দিন স্মৃতি মান্ধানা। বোলাররাও রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে কোনও একজনের উপর নির্ভর করতে চায় না ভারতের মেয়েরা।
আর মাত্র দুটো ম্যাচ। ভারতীয় মহিলা দলের পোস্টার গার্ল মিতালি রাজের হয়তো এটাই শেষ বিশ্বকাপ। আর তাই দলের সবার ‘দিদি’র জন্য ফেয়ারওয়েল গিফট তৈরি করে রেখেছেন বাকিরা। বিশ্বকাপের ট্রফিটা তুলে দিতে হবে দিদি’র হাতে।