করোনা সংক্রমণ রুখতে বলে থুতু লাগানোয় নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট কমিটির
জুন মাসে আইসিসির চিফ এগজিকিউটিভ কমিটির কাছে এই প্রস্তাবগুলি পাঠানো হবে। তারপরে সেই কমিটি প্রস্তাবগুলি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় বদল আনবে ক্রিকেটে। এখন জুনের সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।
সোমবার আইসিসির তরফে একটি প্রেস রিলিজ জারি করে বলা হয়েছে, “আজ ক্রিকেট কমিটি কিছু নিয়মে পরিবর্তনের প্রস্তাব আইসিসিকে জানিয়েছে। সেগুলি প্রতিটিই কোভিড ১৯ সংক্রমণ কমানো এবং ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। আইসিসি মেডিক্যাল অ্যাডভাইজরি কমিটির ডক্টর পিটার হারকোর্টের সঙ্গে বৈঠক করেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বলে চমক বজায় রাখার জন্য যেভাবে বোলাররা থুতু ব্যবহার করেন তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই এই নিয়মে নিষেধাজ্ঞা জানানো হোক।”
এই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “থুতুর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও এই কমিটি জানিয়েছে বলে চমক বজায় রাখতে ঘামের ব্যবহার করতে পারেন বোলাররা। কারণ ঘাম থেকে এই সংক্রমণ ছড়ায় না। সেইসঙ্গে মাঠের মধ্যে হাইজিন বজায় রাখারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন বিশ্বজুড়ে লকডাউন, তার মধ্যেই এভারেস্ট শৃঙ্গ অভিযানে চলেছে চিনের বিশেষ দল! কিন্তু কেন
কুম্বলের নেতৃত্বাধীন কমিটির তরফে খেলা পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় আম্পায়ারদের নিযুক্ত করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইসিসি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, “বর্তমানে বিদেশে খেলতে যাওয়া সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বিদেশে গেলেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার একটা নিয়ম রয়েছে। তাই কমিটির তরফে আইসিসিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য বাইরে থেকে আম্পায়ার না এনে স্থানীয় আম্পায়ারদেরই দায়িত্ব দেওয়া হোক। তবে আইসিসি টুর্নামেন্ট বা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিরিজের ক্ষেত্রে অন্য দেশের আম্পায়ারদের নিযুক্ত করায় সমস্যা নেই বলেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।”
এই কমিটির তরফে আইসিসিকে সব ফরম্যাটে প্রতিটি ম্যাচে একটি করে অতিরিক্ত রিভিউ বাড়ানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আইসিসি জানিয়েছে, “কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে, সব ফরম্যাটের ক্রিকেটে প্রতিটি দলকে একটি করে অতিরিক্ত রিভিউ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হোক। তাহলে আম্পায়ারদের উপর চাপ কিছুটা কমবে।”
জুন মাসে আইসিসির চিফ এগজিকিউটিভ কমিটির কাছে এই প্রস্তাবগুলি পাঠানো হবে। তারপরে সেই কমিটি প্রস্তাবগুলি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় বদল আনবে ক্রিকেটে। এখন জুনের সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।