শেষ আপডেট: 15th February 2019 01:06
হকি অ্যাসোসিয়েশনে ভোট হয় না কেন? বাবুনকে হলফনামা দিতে বলল হাইকোর্ট
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেষবার ভোট হয়েছিল ২০১২তে। তারপর থেকে আর সে দিকে হাঁটেনি বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন। তা নিয়েই আদালতে গিয়েছিল হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টার। সেই মামলাতেই চার সপ্তাহের মধ্যে সংস্থার সচিব বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হলফনামা দিতে বলল হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলা উঠেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। আদালতকে জানানো হয় সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলছে এই সংস্থা। সেই সঙ্গে আরেকটি বিষয়েও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু হকি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব নন। তিনি অ্যামেচার বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনেরও সচিব। আদালতকে বলা হয়, একসঙ্গে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সচিব পদে থাকা নিয়ম বহির্ভূত। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল বাবুনবাবুর সঙ্গে। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট করা হলেও তার জবাব মেলেনি। তিনি প্রতিক্রিয়া জানালে এই প্রতিবেদনে তা আপডেট করে দেওয়া হবে। এমনিতে বাবুনবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই হলেও ময়দানে তাঁর একটা অন্য পরিচয় রয়েছে। এখন তিনি মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল সচিব। বাগানের ডামাডোলের সময় যখন টুটু বসু গোষ্ঠীর কর্তারা গণপদত্যাগ করেছিলেন, সেই সময় অঞ্জন মিত্র গোষ্ঠী তাঁকে ফুটবল সচিবের চেয়ার দেন। কিন্তু বাগানের ভোটের আগেই শিবির বদল করেন বাবুন। টুটু বসুর প্যানেলেই ফুটবল সচিব হয়ে ভোটে লড়ে জেতেন ড্যাংড্যাং করে। ফুটবল সচিব হিসেবে বাবুনের হাত ধরেই আট বছর পর ঘরোয়া লিগ জেতে মোহনবাগান। কিন্তু আই লিগে দলের পারফরম্যান্স মোটেই ভাল নয়। চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় থেকেও ছিটকে জেতে হয়েছে। হারতে হয়েছে পরপর দুটো ডার্বিও। এর মধ্যেই আদালতের এই নির্দেশ তাঁর অস্বস্তি বাড়াবে বলেই বনে করছেন ক্রীড়া মহলের অনেকে। এখন দেখার আদালতে বাবুনবাবু কবে হলফনামা দেন।