
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এরকম নজির দুনিয়ায় দুটো রয়েছে কিনা সন্দেহ। একেবারে ব্যতিক্রমী এক চিত্রনাট্য। সেই কারণে নাদিয়া নাদিম হয়ে উঠেছেন সমাজের এক জ্বলন্ত প্রতিভূ। তিনি হয়ে উঠেছেন খ্যাতনামা, আইকনও।
অনেকেই বলে থাকেন, এই মেয়ে সেই মেয়ে নন, সত্যিই তাই। বাবাকে তালিবান জঙ্গীরা চোখের সামনে হত্যা করেছিল। ছোট্ট নাদিয়া তা দেখেছিল, সেইসময় বয়স ১১ বছর। পালিয়ে চলে আসেন আফগানিস্তান থেকে, একেবারে শিঁকড় ছেড়ে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেন ডেনমার্কে। ওই দেশই হয়ে ওঠে নাদিয়ার ঘর, নিজের শহর।
সব থেকে বড় কথা, ফুটবলার হিসেবেই তাঁর আন্তর্জাতিক পরিচিতি। ডেনমার্কের তিনি তারকা ফুটবলার, ওই মহিলা দলের অধিনায়িকাও হয়েছেন। মোট ১১টি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন নাদিয়া।
Nadia Nadim fled Afghanistan when she was 11 after her father was killed. She has scored 200 goals. Played for PSG and Man City. Represented Denmark 99 times. Speaks 11 languages.
This week she qualified as a doctor after 5 years of studying whilst playing football.
Wow 👏 pic.twitter.com/AIn38W88c6
— ESPN FC (@ESPNFC) January 16, 2022
নিজে ফুটবলার খেলার পাশে পাঁচ বছর ধরে ডাক্তারি কোর্স শেষ করে তিনি এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসকও। নাদিয়া কারোর নাড়ি টিপলে তাঁর অসুখ সারবেই, এমনই ভরসা আফগানিস্তানে।
নিজের ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জনের পরে নাদিয়া টুইটারে লেখেন, ‘‘যাঁরা প্রথম দিন থেকে আমাকে সমর্থন করেছেন এবং যাঁদের যাত্রাপথে নতুন বন্ধু হিসেবে পেয়েছি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনাদের সমর্থন ছাড়া আমার পক্ষে এটা কখনই সম্ভব হতো না। পাশে থাকার জন্য চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব আপনাদের কাছে।’’
At age 11, Nadia Nadim and her family fled to Denmark after the Taliban murdered her father.
Now, she is:
· A reconstructive surgeon
· A pro footballer
· Fluent in 11 languages
· On the Forbes list of The Most Powerful Women@nadia_nadim is nothing short of amazing! 🤩 pic.twitter.com/WLh8sAN99t— Attacking Third (@AttackingThird) January 16, 2022
ডেনমার্কের হয়ে ইতিমধ্যেই ৯৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে নাদিয়ার। ৩৮টি গোল করেছেন দেশের হয়ে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, প্যারিস সাঁ-জা’র মতো প্রথমসারির ক্লাবে দাপটে খেলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ২০০-র বেশি গোল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
এহেন তারকা ফুটবলার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানান ডাক্তারি পাশ করার কথা। তিনি লিখেছেন তাঁর স্বপ্নপূরণের কথা। যেখানে বাবাকে ও নিজের পুরো পরিবারকে ধ্বংস হতে দেখেছেন, সেখানে তিনি হয়ে উঠেছেন জীবন বাঁচানোর কারিগর। আমেরিকার ফোবর্স ম্যাগাজিন তাঁকে পাওয়ারফুল মহিলা ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরেছে।
আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য, নাদিয়া নিজে শুধু চিকিৎসক নন, তাঁর আরও এক বোনও নামী চিকিৎসক, আবার তাঁর আরও দুটি বোন হলেন নার্স। কিন্তু কেউই নাদিয়ার মতো পেশাদার ফুটবলারের পাশে অন্য জগতে নাম করেননি, তিনি সেদিক থেকে সারা দুনিয়ার কাছে ব্যতিক্রম। নাদিয়া সকলের রোলমডেল হিসেবে সম্মান পেতে পারেন।