শেষ আপডেট: 1st February 2025 22:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যা হল, সেটাকে খেলা না বলে 'ছেলেখেলা' বলাই বরং ভাল। কেতাবি ভাষায় এই ম্যাচটা নামেই ছিল মিনি ডার্বি। কিন্তু মেরিনার্সরা যেভাবে মহমেডানের মুখে ৪-০ গোলের ঝামা ঘষে দিল, সেটা ডার্বির জৌলুস একেবারে ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে গেল।
এই ম্যাচে দুটো করে গোল করলেন শুভাশিস বসু এবং মনবীর সিং। মহমেডানের তাও কপাল ভাল ছিল যে মোহনবাগানের ফুটবলাররা এই ম্যাচে প্রত্যেকটা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। আর সেটা হলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড চোখ বন্ধ করে ৮-৯ গোলে জয়লাভ করল।
খেলা শুরুর প্রথম মিনিট থেকেই এই ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দাপট দেখতে পাওয়া যায়। নিজেদের মধ্যে সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা ছোট ছোট পাস খেলে সামনের দিকে উঠতে শুরু করেন। মোহনবাগান দুই প্রান্ত থেকে যেভাবে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছিল, একটা সময় তো সাদা-কালো ব্রিগেডের রক্ষণে কার্যত নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছিল। বিক্ষিপ্ত সুযোগ মহমেডান তৈরি করলেও, একটাও আক্রমণ দানা বাঁধতে পারেনি।
মহমেডানকে সবথেকে বড় ধাক্কা দেয় কাশিমভের লাল কার্ড। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে টম অলড্রেডকে ফাউল করার জন্য় রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখার। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জন মিলে শক্তিশালী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাদের খেলতে হয়। সেক্ষেত্রে ম্যাচের ফলাফল যা হওয়ার ছিল, সেটাই হয়েছে। প্রথমার্ধেই বাগান ৩-০ গোলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আর দ্বিতীয়ার্ধের গোলটা যেন 'তিনটের সঙ্গে একটা ফ্রি' টাইপের অফার ছিল। সবমিলিয়ে গোটা ম্যাচেই মোহনবাগানের কর্তৃত্ব চোখে পড়ার মতো ছিল।
এই জয় মোহনবাগানকে লিগ শিল্ডের যে আরও কাছাকাছি নিয়ে গেল, তা বলাই বাহুল্য। তারা আপাতত ১৯ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়ার থেকে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে তারা এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, ১৩ নম্বরে লাস্ট বয় হয়েই থাকতে হচ্ছে ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের। তারা ১৮ ম্যাচে ১১ পয়েন্টই সংগ্রহ করেছে। এই গর্বের জয়ের পর মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রথম লেগে মেরিনার্সরা এই মহমেডানের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয়লাভ করেছিল। দ্বিতীয় লেগে আরও এক গোলের বেশি ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করল।