শেষ আপডেট: 8th March 2025 21:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চলতি আইএসএল টুর্নামেন্টে কার্যত রাজত্ব করেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ইতিমধ্যে তারা লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়নও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে কোনও ঢিলেমি দিল না হোসে মলিনার দল। শেষপর্যন্ত ২-০ গোলে তারা জয়লাভ করল। আপাতত আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন গোটা বিশ্বের মেরিনার্সরা। ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব শেষ করল।
এই ম্যাচটা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান। বাংলায় একটা প্রবাদ রয়েছে - সব ভালো যার, শেষ ভাল তার। শনিবারের ম্যাচে সেটাই কার্যত বুঝিয়ে দিল মেরিনার্সরা। লিগ শিল্ড তারা ইতিমধ্যে নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছিল। কিন্তু, লিগ শিল্ড জয়ই যে মেরিনার্সদের আসল লক্ষ্য নয়, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন মলিনা। আর সেকারণে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচেও চোখে চোখ রেখে লড়াই করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আশা করা যায়, এই জয় নকআউট পর্বে তাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
এই ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়ত ক্লাসের ফার্স্ট এবং সেকেন্ড বয়ের লড়াইটা শেষপর্যন্ত ড্র হবে। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধে গোয়া কার্যত নিজেদের পায়ে নিজেরাই কোপ মারল। ৬২ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করলেন বরিস সিং। দোষটা ছিল আসলে গোয়ার গোলরক্ষক ঋত্বিক তিওয়ারির। তিনি নিজের জায়গা ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বরিস যখন হেড দিয়ে বলটা ঋত্বিকের কাছে ফেরত পাঠাতে যান, তখন গোলপোস্ট একেবারে ফাঁকা ছিল। এই আত্মঘাতী গোলের পর বরিস কার্যত হতাশায় ভেঙে পড়েন। কিন্তু, ততক্ষণে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। একটাই গর্জন শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল - মোহনবাগান, মোহনবাগান।
রেগুলেশন টাইমের পর আরও ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। আর এই অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে বাগানের হয়ে ইনস্যুরেন্স গোলটা করলেন স্কটিশ ম্যাজিশিয়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। জেসন কামিন্স তাঁকে বলটা বাড়ালেও কার্যত একক দক্ষতায় তিনি বিপক্ষের রক্ষণে প্রবেশ করেন। এরপর বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় নেন ডান পায়ের একটি জোরাল শট। ততক্ষণে যুবভারতীর যাবতীয় ডেসিবল মাত্রা চুরমার হয়ে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত মুখে হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়লেন বাগান ফুটবলাররা।