শেষ আপডেট: 3rd September 2024 00:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার লখনউয়ের কেডি সিং বাবু স্টেডিয়ামে হয়ে গেল কলকাতা ডার্বি। প্রদশর্নী ম্যাচ হলেও দুই দলের সমর্থকরাই জেতার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। এই ম্যাচে অবশ্য শেষ হাসি হেসেছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। কারণ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে তাঁরা হারিয়েছে ৩-২ গোলে। যদিও তা টাইব্রেকারে।
ম্যাচের শুরুর এক মিনিটের মধ্যেই গোল করে দিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়। এরপর মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে সুহেল ভাট, সুমিত রাঠীরা। যদিও ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স ভেদ করতে পারেননি তাঁরা। সেই সুযোগ তৈরি হয় ১৮ মিনিটে। দুরন্ত ফ্রি-কিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান সুহেল ভাট। সেখানে লাল-হলুদ রক্ষণে ভুল ছিল বলতেই হবে। তবে এরপর আর গোল হয়নি প্রথমার্ধে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে কিছুটা গা ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছিল দুই দলই। কিন্তু গোলের রাস্তা খোলার জন্যও চেষ্টা করছিল। শেষমেশ ৭১ মিনিটে সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ড্রিবল করে আমন মাপা ক্রস দেন এবং গোল করেন মহম্মদ আশিক। এই গোলের ১০ মিনিটের মাথায় পর পর দু’টি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সায়ন। ইস্টবেঙ্গল একজন কম নিয়ে খেললেও ৯০ মিনিটে আর গোল খায়নি। খেলার ফল থাকে ১-১।
টাইব্রেকারে লাল-হলুদ গোলকিপার দুটি সেভ করেছিলেন, তাও ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি! কারণ ইস্টবেঙ্গলের তিনজন গোল করতে ব্যর্থ হন। দুজন বাইরে মারেন, একজনের শট বাঁচিয়ে দেন মোহন গোলকিপার। এতএব লখনউয়ে ‘চিফ মিনিস্টার্স কাপ’-এ চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে ফুটবল খেলার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন লখনউয়ে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আয়োজন করে।
গত অগস্ট মাসে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্যায়ে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের খেলতে নামার কথা ছিল। কিন্তু, কলকাতায় আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।